ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত কামারপুকুর কলেজ

0
157

নাদিহা বেগম,আরামবাগ, ২৬ মেঃ-

ফর্ম ফিলাপ কে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যা মহাপীঠ যেটি কামারপুকুর কলেজ হিসাবেই বেশি পরিচিত।
জানা গিয়েছে, হুগলির গোঘাট থানার কামারপুকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যা মহাপীঠে পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় ফর্ম ফিলাপ করতে আসা এক ছাত্র হয়ে যায় রক্তাক্ত। ফর্ম ফিলাপ করতে আসা ছাত্রদের ফরম ফিলাপ করতে না দেয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঘেরাও হন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ।

রক্তাক্ত ছাত্র

ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কলেজের ছাত্র সংসদ ও একাডেমিক বিভাগে ভাঙচুর করার । ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কলেজে ছুটে যায় গোঘাট থানার পুলিশ । কিন্তু কিভাবে একজন ফর্ম ফিলাপ করতে আসা ছাত্র রক্তাক্ত হলো মেলেনি কোনো উত্তর। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে থেকে কামারপুকুর কলেজে বি.এ. প্রথম বর্ষের সেকেন্ড সেমিস্টারের ফর্ম ফিলাপ চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে যাদের কলেজের উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের নিচে তাদেরকে দেয়া হয়নি ফর্ম ফিলাপ করতে ।ফলে প্রায় শ’পাঁচেক ছাত্র-ছাত্রী আটকে যায় সেকেন্ড সেমিস্টার এর ফর্ম ফিলাপ করা থেকে। শনিবার ছিল ফর্ম ফিলাপের শেষ দিন। এদিন কলেজে প্রায় ২০০ জন ছাত্রছাত্রী এসেছিল, যারা ফর্ম ফিলাপ করতে পারেনি ।কেন তাদেরকে ফর্ম ফিলাপ করতে দেয়া হবে না, এইসব অভিযোগ তুলে তারা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন । কলেজের তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের সদস্যদের অভিযোগ ওই সময় ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক বিভাগে ভাঙচুর চালায়। তাদের অফিসেও ভাঙচুর করে। ফর্ম ফিলাপ করতে না পারা ছাত্রদের অভিযোগ ,তাদেরকে মারধর করা হয় কলেজের মধ্যে।

ঘটনায় হায়াত আলী নামে এক ছাত্র রক্তাক্ত হয়ে যায়।যদিও ছাত্র সংসদের সদস্যদের অভিযোগ এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি । ওরা নিজেরাই বাঁশ জাতীয় কিছু তুলতে গিয়ে রডে আঘাত লেগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এবিষয়ের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন ঘোষ বলেন ইউজিসির নিয়ম অনুসারে ৫০ শতাংশের নিচে যাদের উপস্থিতির হার তাদেরকে ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া সম্ভব নয়।
চিত্তরঞ্জন বাবু আরো বলেন একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তেই ফর্ম ফিলাপের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল । গত ৭মে থেকে ফর্ম ফিলাপ চলছিল । আজ ফর্ম ফিলাপের শেষ দিন ছিল। এমনও অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা ভর্তি হওয়ার পর আর কলেজে আসেনি । কারো উপস্থিতির হার ০% কারো বা ৫%, আজ হঠাৎ ফর্ম ফিলাপ করতে না পারা ২০০ জন ছাত্রছাত্রী তাদেরকে ঘেরাও করে, কলেজে চালায় ভাঙচুর । এক ছাত্র কিভাবে রক্তাক্ত হলো জিজ্ঞাসা করায় বলেন ,”ওরা কলেজে ভাঙচুর চালাতে গিয়ে কলেজে পড়ে থাকা কোন বাঁশের খাদি তুলতে গিয়েছিল, সেই সময়ে রডে আঘাত লেগে এই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here