বালি বোঝাই ট্রাকে বালি চাপা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার

0
1363

পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ

মহঃবাজার থানার অন্তর্গত টাংশুলী গ্রামের বালি ঘাটে বালি বোঝাই করতে আসা একটি ট্রাক থেকে বালি চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বালি ঘাটের কাছে যেতেই মালদা থেকে বালি লোড করতে আসা একটি ট্রাকের নিচে রক্ত দেখতে পাই।এরপর ট্রাকের ওপর চেপে বালি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে মৃতদেহ। খবর দেওয়া হয় মহঃবাজার থানায়।পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহমান,বয়স আনুমানিক ২৩ বছর।মৃত ব্যক্তি একজন ট্রাক চালক এবং বাড়ি মালদা জেলায় কিন্তু বালি লোড করতে আসা এই ড্রাইভারের মৃতদেহটি কিভাবে ট্রাকের ওপর এলো!কে বা কারা তাকে মেরে বালি চাপা দিয়ে গেল! নাকি বালি ঘাটের সংঘর্ষের জেরে খুন? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে মহঃবাজার থানার পুলিশ।

মৃত আব্দুর রহমান। নিজস্ব চিত্র

মালদা থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, “গত পরশুদিন এই গাড়িটি বালি লোড করতে এসেছিল মহঃবাজার থানার অন্তর্গত এই বালিঘাটে হঠাৎ ভোর বেলায় চারটে নাগাদ দেখা যায় যে গাড়ির ড্রাইভার নিখোঁজ। গাড়ি রয়েছে অথচ ড্রাইভারের কোনো খোঁজই নেই।এরপর ঘাট মালিক এবং অন্যান্যদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন যে ড্রাইভার পালিয়ে গেছে।আমরা মালদা থেকে এসে বিভিন্ন দিকে খোঁজখবর লাগায় কিন্তু কোনো রকম ভাবেই ওই ড্রাইভার এর খোঁজ পাওয়া যায়নি।ঘাট মালিক এবং এখানকার অন্যান্যরা বারবার বলে যে ওই ড্রাইভার অন্য গাড়ীতে চলে গেছে।আমরা সেই সমস্ত গাড়িতে ফোন করে দেখি যে, না ওই গাড়িতে যায়নি ওই ড্রাইভার।তারপর আমাদের সন্দেহ হয় এবং গোটা নদী খোঁচাখুঁচি করি কিন্তু তাতেও খুঁজে পাওয়া যায়নি হঠাৎ গাড়িতে উঠে দেখি বালি থেকে রক্ত পরছে।বাড়ি লোড করার যন্ত্রের ড্রাইভার কিছু বলেনি এমনকি আমাদের গাড়ির খালাসীও কিছু বলছিল না যা বলছিল তা উল্টোপাল্টা।মৃত ওই ডাইভারকে মুখে আঘাত করা হয়েছে তারপর গাড়িতে লোড করা বালির মধ্যে পুঁতে দিয়েছিল।আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি, আমরা চাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং উঠে আসুক আসল সত্য, দোষীদের শাস্তি হোক।”

এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো মহঃবাজার থানা এলাকায় বিগত ছয় মাসে এ নিয়ে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ,কখনো জাতীয় সড়কের ধারে,কখনো বা জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

গত মাসের অর্থাৎ অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে এই মহঃবাজার থানা এলাকায় মিলেছিল শেখ শামীম এর ক্ষতবিক্ষত দেহ,এ ঘটনায় পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হলেও পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।তবে শুধু গত মাসেই নয়,এর আগেও এই মহঃবাজার থানা এলাকায় পাওয়া গিয়েছিল আরো একটি ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ।এভাবে একের পর এক ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারে রীতিমতো এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ পথ দুর্ঘটনায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here