বলিউডের স্বর্ণযুগে লেজেন্ড ‘মুকেশ’, একসময় সাধারণ শিল্পী ছিলেন বলে মেনে নেননি শ্বশুর

0
173

মোহনা বিশ্বাস, বিনোদন ডেস্কঃ

‘কাভি কাভি মেরে দিল মে খেয়াল আতা হে….।’ আজকের দিনে মুকেশ জি’র খেয়াল তো আসবেই। কারণ আজ ২২ জুলাই। ১৯২৩ সালে আজকের দিনেই দিল্লিতে জন্মেছিলেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী মুকেশ চাঁদ মাথুর। গানের দুনিয়ায় যিনি ‘মুকেশ’ নামে পরিচিত। বলিউডের স্বর্ণযুগে লেজেন্ড ছিলেন এই শিল্পী। নব্বইয়ের দশকে চুটিয়ে কাজ করেছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।

Mukesh Chand Mathur
ছবি: সংগৃহীত

মুকেশের বোনের বিয়েতেই তাঁর কণ্ঠ শুনেছিলেন মতিলাল। এরপর শিল্পীকে মুম্বইতে নিয়ে চলে গেছিলেন মতিলাল। ১৯৪১ সালে হিন্দি সিনেমা ‘নির্দোষ’-এ গান গাওয়া অফার পেয়েছিলেন মুকেশ। তাঁর কণ্ঠে ‘দিল হি বুঝা হুয়া হো তো’-এই গানটিই প্রথম শোনা গেছিল। এরপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই সঙ্গীতশিল্পী।

Mukesh Chand Mathur
ছবি: সংগৃহীত

১৯৪৫ সালে ‘পহেলি নজর’ সিনেমায় অনিল বিশ্বাসের সুরে ‘দিল জ্বলতা হে তো জ্বলনে দো’ গানটি গেয়ে দর্শক এবং শ্রোতার মন জয় করে নেন এই শিল্পী। এরপর বলিউডের তাবড় তাবড় সুরকারদের সঙ্গে কাজ করেন মুকেশ চাঁদ মাথুর। একসময় দিলীপ কুমারের লিপে শোনা যেত মুকেশের কণ্ঠ। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ‘রজনীগন্ধা’। এই সিনেমায় ‘কই বার ইয়ুহি দেখা হে’ গানটির জন্য সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন মুকেশ।

আরও পড়ুনঃ বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘অপরাজিতা’, পরিচালক রোহন সেন

‘মেরা নাম জোকার’ সিনেমায় মুকেশের কণ্ঠে শোনা যায় ‘জিনা ইয়াহা, মরনা ইয়াহা’ গানটি। যা শুনলে চোখের কোণ চিকচিক করে, এই কণ্ঠ তেমনই একটি অবিস্মরণীয় কণ্ঠ, অবিস্মরণীয় গান। যা আজও প্রত্যেকটি মানুষের মনের মণিকোঠায় উজ্জ্বল। এই একটামাত্র গান যা দর্শককে বারে বারে মনে করিয়ে দেয় যে, জন্ম যেখানে, সেখানেই মৃত্যু। ইসকে সিবা জানা কাঁহা?

আরও পড়ুনঃ পর্দায় লেখকের ভূমিকায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গান গাইবেন গার্গী

১৯৪৬ সালের ২২ জুলাই, ২৩ তম জন্মদিনে কান্দিভালি মন্দিরে রায়চাঁদ ত্রিবেদীর কন্যা সরল ত্রিবেদীকে বিয়ে করেন মুকেশ চাঁদ মাথুর। সেই সময় মুকেশ ছিলেন সাধারণ এক শিল্পী। সঙ্গীতই যাঁর একমাত্র সাধনা। তাই সরল ত্রিবেদীর বাবা এই বিয়ে মেনে নেননি। আর সেই জন্যই মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করতে হয়েছিল তাঁদের। অনেকেই ভেবেছিল এই বিয়ে স্থায়ী হবে না। কিন্তু সকলের সব অনুমানকে ভুল প্রমাণিত করে একসঙ্গে ভাল ও খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছিলেন মুকেশ-সরল। ১৯৭৬ সালে ত্রিশতম বিবাহ বার্ষিকীও খুব ধুমধাম করে উদযাপন করেছিলেন এই তারকা দম্পতি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here