মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার শহর সংলগ্ন ঘুঘুমারি এলাকায়। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রাজ্য সড়ক (দিনহাটা-কোচবিহার মেইন রোড) অবরোধ করে ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ওই ঘটনার জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কোচবিহার কোতোয়ালী থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। যদিও তৃণমুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা।
তৃনমূলের অভিযোগ, শনিবার ঘুঘুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত আর্থানুকুলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা বিধায়ক মিহির গোস্বামীর। সেই খবর বিজেপি কর্মীরা জানতে পেরে নিজেরাই তাদের দলীয় কার্যালয়ে বোমাবাজি করে এলাকায় একটা সন্ত্রাসের বার্তা বরন তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে তার অভিযোগ। মানুষ তা বুঝে গেছে। সেই কারনে মানুষ তাদের বিতাড়িত করতে শুরু করেছে।
এবিষয়ে ঘুঘুমারি ১৫ নং বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রথীন ঘোষ বলেন, আমাদের ১৫ নং বিজেপি মন্ডল কমিটির একটা শান্তি মিছিল ছিল বেলা ২টা ৩০মিনিটে। তা নিয়ে ঘুঘুমারি বাজার সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে মিটিং করছি কর্মীদের নিয়ে। সেই সময় বাইকে করে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুটি বোমা ফাটায়। তারপর আমরা তাদের তাড়া করলে তৃনমূলের দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আমাদের এক মহিলা সহ দুজন কর্মী আহত হয়। একজনকে আমরা কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করি। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করেচ দলীয় কার্যালয়ে রাখি। এই ঘটনা নিয়ে আমরা ইতি মধ্যে কোতোয়ালী থানার আইসিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করব।
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে কোচবিহার দক্ষিন বিধানসভার বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ওই ঘটনায় সাথে আমাদের কোন কর্মী যুক্ত নয়। যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তখন আমরা বসেরহাটে একটি সরকারী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলাম। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাও সেখানে ছিল। কোন কর্মীই ঘুঘুমারি এলাকায় ছিল না। কারন বিজেপি সর্বদাই মিথ্যা কথা বলে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের বিভিন্ন নেতারা মিথ্যাচারের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে থাকতে চাইতেছে। কিন্তু মানুষ এখন বিজেপিকে বিতাড়িত করেছে। তার প্রমান রাজ্যের ওই তিনটি উপনির্বাচনের ফলাফল। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি ঘুঘুমারি এলাকায় যেভাবে সন্ত্রাস তৈরি করছে। তা সহ্যের সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই বলছি অনেক হয়েছে আমরা আর তাদের অন্যায় বরদাস্ত করব না। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন বিজেপির এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584