সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
অন্যদিনের মতো রিক্সা টোটো গিজগিজ করা বর্ধমান স্টেশন চত্বরে সম্পূর্ণ অন্য রূপ দেখা গেলো গতকাল মঙ্গলবার। বিজেপি এবং তৃণমূলের অশান্তিতে বর্ধমান স্টেশনের মূল প্রবেশপথের সামনে সারাদিন উত্তেজনা থাকলেও বিকেল তিনটে নাগাদ পুলিশ দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার পরে রাস্তা ফাঁকা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই পরপর দুটি বোমা পড়ে গুডস শেড ঢোকার মুখে। বিজেপি এবং তৃণমূল সমর্থকদের জড়ো হতে দেখেই শুনশান হয়ে গিয়েছিল এলাকা।
আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় দোকানের ঝাঁপ, বাড়ির দরজা। রাস্তায় থাকা একাধিক সরকারি দপ্তর বন্ধ হয়ে যায়। দুই রাজনৈতিক দলের এলাকা দখলের লড়াই থামাতে মাঠে নামে পুলিশ।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে স্টেশন এলাকায় একটি গুমটি থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছিল বিজেপি। তাতে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল। এ নিয়ে লোক জড়ো করে দু’পক্ষ।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের ইফতিকার আহমেদের নেতৃত্বে সাইকেল স্ট্যান্ড, গাড়ির স্ট্যান্ড, সংবাদপত্রের হকারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করা হয় নিয়মিত। এ কথা প্রকাশ্যে বলাতেই স্টেশন চত্বরের ওই গুমটিতে ভাঙচুর করতে আসে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। তাতে বাধা দেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। গতকাল বিকেলে যে ছবিটি বর্ধমান স্টেশনে স্পষ্ট হয় তাতে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মের দিকে বিজেপির লোকেরা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে। আর জিটি রোডের দিকে জমা হয়েছে তৃণমূলের লোকজন। তাদের হাতেও লাঠি। মাঝে বর্ধমান সদর ডিএসপি শৌভিক পাত্র, বর্ধমান থানার আইসি তুষার করেরা বিশাল বাহিনী নিয়ে দাঁড়িয়ে।
আরও পড়ুনঃ ঘোষপুকুরে উদ্ধার এক কোটি টাকার সেগুন কাঠ, আক্রান্ত দুই বনকর্মী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সালে যুযুধান ছিলেন আইএনটিইউসি-র ইফতিকার আহমেদ ও লক্ষ্মীপুর মাঠের বাসিন্দা, সিপিএমের খোকন সেন। দু-পক্ষ একই থাকল। শুধু খোকনবাবু মাঠে নামলেন বিজেপির হয়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584