পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়ীর পাশ থেকে বোমা উদ্ধার

মনিরুল হক,কোচবিহারঃ

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়ির পাশ থেকে ক্রুড বোম উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় দিনহাটার জরাবাড়ি গ্রামে। রবিবার বিকেলে পুটিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত জরাবাড়ি গ্রাম তথা দিনহাটা ১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি মফিজুল হকের বাড়ির সামনে একটি আলু ক্ষেতে ওই বোমা দেখতে পায় স্থানীয়রা। ওই ঘটনার খবর জানা জানি হতে না হতে সভাপতির বাড়ির সামনে ভিড় জমতে থাকে। ওই ঘটনার খবর দেওয়ে হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার এএসআই জ্যোতিরঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে একটি পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ঘটনাস্থল থেকে ওই ক্রুড বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ জলঙ্গীতে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দিনহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিজুল হকের ঘরে পাশে একটি আলু ক্ষেতে ওই ক্রুড বোমা কে বা কারা রেখে যায়। সেই বোমা বিকেলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ওই বোমা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ তল্লাসি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে মাতালহাট, গিতালদহ, পেটলা, ভেটাগুড়ি, জড়াবাড়ি তল্লাসি চালায় পুলিশ। তল্লাসি চালিয়ে ভেটাগুড়ি থেকে ১৩টি বোমা সহ একজনকে গ্রেপ্তার করেন এবং পেটলা থেকে ৯টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার পুটিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের জড়াবাড়ি এলাকায় তল্লাসি চালানোর হয় বলে পুলিশ সুত্রে জানা যায়। পুলিশের ওই তল্লাসির পর ওই এলাকায় হয়তো কার বাড়ীতে ক্রুড বোমাটি ছিল, সেটা হয়তো সেখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও ওই বিষয়ে দিনহাটা ১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিজুল হক বলেন, “আমারা ঘরের পাশে একটি আলু ক্ষেত রয়েছে, সেই আলু ক্ষেতে কে বা কারা ওই ক্রুড বোমাটি রেখে গেছে তা আমার জানা নেই। যাদের কাছে এই ধরনের বোমা থাকে তারা তো সাধারন মানুষ হতে পারে না। তারা সমাজ বিরোধী বা দুষ্কৃতী। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমরা আর্জি যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের গ্রেপ্তার করুক পুলিশ।”
ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুটিমারি ১ নং অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ কুমার বর্মণ। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বাড়ির পাশে আলু ক্ষেতে কে বা কারা ওই বোমা রাখল তা তদন্ত করে খুঁজে বের করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক পুলিশ।”