রিচা দত্ত, মুর্শিদাবাদঃ

৩৯ তম মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হলো। ভালোবাসার মেলবন্ধনে গড়ে উঠুক বিশ্ব এই আঙ্গিকে এবছরের মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলার আয়োজন করল স্থানীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। ২-৮ জানুয়ারি দুপুর ১২ টা থেকে রাত্রি ৮ পর্যন্ত খোলা থাকবে এই মেলা প্রাঙ্গণ।


আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমান, জেলাশাসক জাগদিশ প্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন সহ বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর নেতৃত্ব গন।

এবছরের বিশেষ আয়োজন পাঠকদের ‘বই ধরো বই পড়ো’ প্রকল্পের আওতায় পাঠকদের এনে পূর্বের তুলনায় পাঠক বাড়ানোর এবং পঠন-পাঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। মুকুব করা হলো গ্রন্থাগারের সদস্য হওয়ার মূল্য। সেইসাথে এবছর থেকে বইমেলার প্রবেশ মূল্য মুকুব করা হলো। এই প্রকল্প হওয়ার পর থেকে রাজ্যে ২ লক্ষ ৮০ হাজার সদস্য হয়েছে। আগামীদিনের লক্ষ্য ৫ লক্ষ পাঠক নথিভুক্ত করা। গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান ২৩ টি জেলার বইমেলার পক্ষ থেকে ভালোবাসার মেলবন্ধনে গড়ে উঠুক এই শিরোনামে মানুষের কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যাতে পাঠক সংখ্যা আগের তুলনায় যেন আরও বেড়ে ওঠে।

আরও পড়ুনঃ‘মিত্রোঁর’ আলিঙ্গনই ছিল ভরসা, জানালেন ইসরো প্রধান
এছাড়াও প্রকল্পের ঘোষণা রয়েছে যদি এমন কোন জায়গা থাকে যেখানে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের বইয়ের প্রয়োজন, আশেপাশে সরকারি গ্রন্থাগার থাকে তাহলে তারা সরাসরি সেখানে সে বইয়ের নাম নথিভুক্ত করবে এবং সেটি বিনামূল্যে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীর হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও বর্তমানে আধার কার্ড জনিত যদি কোন সমস্যায় পড়ে মানুষ তাহলে স্থানীয় বিধায়ক যিনি থাকবেন তিনি যদি নথিপত্র দেন তাহলেই হবে। কারণ পঞ্চায়েত বা বিডিও-র পক্ষ থেকে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ আধার কার্ড করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া সরাসরি জেলাশাসকের মাধ্যমে সরকারি কোন নির্দেশ থাকলে তা জানানো হবে।এখন খালি দেখবার বিষয় নতুন এই প্রকল্পের আওতায় এসে কত মানুষ উপকৃত হয় এবং গ্রন্থাগারে যুক্ত হওয়ার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584