শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
বর্তমানে হামেশাই শোনা যাচ্ছে মেয়েরা যদি একটু সুন্দরী হয় তাহলে তার টাকার অভাব নেই। তাই অনেকেই বিবাহের পরে স্বামী ছেড়ে দিব্যি ভালো মন্দে দিন কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আর অবিবাহিত সুন্দরী মহিলা তো প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন শুধুমাত্র শরীর ঘেঁষে।
এই রকমটাই অভিযোগ কান পাতলে শোনা যাচ্ছে সর্বত্র।তবে নদীয়ার রানাঘাটে প্রেমিককে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে।অভিযোগ এমনটাই যে এক সুন্দরী মহিলা সে একাধিক পুরুষের সাথে যোগাযোগ রেখে বহাল তবিয়তে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন।এর পর ঘটে বিপত্তি
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার রানাঘাটের নৌকারি গ্রামে।মৃত ওই যুবকের নাম সুমন ঘোষ।ঘটনাটি ঘটার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিকা শুক্লা ঘোষ পলাতক।এলাকার মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়ে ওই মহিলার বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানা গিয়েছে।দেখতে সুন্দরী মহিলা তাই অনেক পুরুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হত,একাধিক পুরুষ সঙ্গী থাকার কথা জেনে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম দিকের প্রেমিক সুমন ঘোষ।
সুমন প্রেমিকা শুক্লার বাড়িতে গেলে চুপিসারে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলেছে এরকমটাই সুমনের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ।যদিও অন্য সূত্রে খবর যে শুক্লা ঘোষ এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয় বা সে এই ঘটনা ঘটায়নি।নকারি গ্রামের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুন্দরী শুক্লা ঘোষের সাথে।বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে সুমন এবং শুক্লার।
আরো অভিযোগ যে সুমনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর আরও একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে শুক্লার,একাধিক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বাধা দিয়ে যাচ্ছিলেন সুমন।এই থেকেই চরম রাগ ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে শুক্লা ঘোষ।
অভিযোগ যে মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেয় সুমন কে।সুমনকে প্রথমে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পরে সেখান থেকে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোমবার রাতে মৃত্যু হয় তার।সুমনের বাবা পলাশ ঘোষ রানাঘাট থানায় ওই সুন্দরী মহিলা শুক্লার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন শুক্লা তবুও ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ সিকিমে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ১৫০ ফুট গভীর খাদে পড়ল গাড়ি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584