সুদীপ পাল, পূর্ব বর্ধমানঃ
বছরের প্রথম দিনেই বনেদি পরিবার এবং দোকান ঘর পুজো করে সারা মাসের খরচ উঠে যেত। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি অন্য। চৈত্র সেল নেই, পয়লা বৈশাখ নেই, হালখাতা নেই, বছরের প্রথম দিনে সারাবছরের মঙ্গল কামনা করে পুজো নেই। আয় নেই। তাই টান পড়তে শুরু করেছে পুরোহিতের ভাতের হাঁড়িতে।
পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান দুই জেলার পুরোহিতের অবস্থায় ক্রমাগত শোচনীয় হচ্ছে। বর্ধমানের বাসিন্দা অরিন্দম ঘোষ বলেন, ‘সরস্বতী পুজো বা নববর্ষের দিনে পুরোহিত নিয়ে টানাটানির ছবি প্রতিবছর দেখা যায়। কিন্তু এবার একেবারেই অন্যরকম। দোকান বন্ধ হলে কেইবা পুজো করানোর জন্য তাঁদের ডাকবেন?’
আরও পড়ুনঃ অবসাদের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা, আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে যুবক
একদিকে দোকান বন্ধ অন্যদিকে শহরের বড় মন্দিরগুলিতে ভক্ত সমাগমও বন্ধ। পুরোহিতদের একাংশের দাবি, মন্দিরে পুজো করে মাসিক আয় হতো। তাই দিয়ে সংসার চালানো যেত। কিন্তু এখন তাও বন্ধ। শুধু বড় মন্দির নয় বনেদি বাড়িতে নিয়মিত পুজোও প্রায় বন্ধের মুখে। বর্ধমানের পুরোহিতদের একাংশ রাজ্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছে তাঁদের দিকটি দেখার জন্য।
বর্ধমানের পুরোহিত ধূর্জটিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘হালখাতার দিনে কয়েক হাজার টাকা রোজগার হতো। কিন্তু করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে সবই বন্ধ। কিভাবে সংসার চালাবো বুঝতে পারছি না।’ পশ্চিম বর্ধমানে একটি বেসরকারি সংস্থা এই দুঃসময়ে পুরোহিতের হাতে চাল-ডাল এদিন তুলে দেয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584