রবির মেজদা মোদীর ভাষণে বড়দা- কটাক্ষ ব্রাত্যর

0
65

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বাঙালির হৃদয়ে পৌঁছতে বিজেপির বড় ভরসা এখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরই মাঝে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন, সে সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে কবির অবদান নিয়ে ভাষণ দেন মোদী।

modi | newsfront.co
গ্রাফিক্স চিত্র

কিন্তু রবির পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমন অভিযোগই করল তৃণমূল। মোদীর ভাষণ শেষের পরই ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মেজদাকে (সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর) বলেছেন বড়দা। জ্ঞানদানন্দিনী উচ্চারণ ভুল করেছেন।”

আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই মমতা এতদিন বাম-কংগ্রেস ভাঙছিলেনঃ অধীর

মোদীকে নিশানা করে ব্রাত্য এদিন আরও বলেন, ‘‘ওঁর মুখে বারবার কেন গুজরাত এল বুঝতে পারলাম না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কেন বারবার গুজরাতের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগযোগ নিয়ে কথা বলতে উৎসাহী। উনি তো বিশ্বকবি। জ্ঞানদানন্দিনী দেবীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাড়ির আঁচলের প্রসঙ্গ যা বলেছেন, তা অর্ধসত্য কথা। গুজরাতি মহিলাদের পাশাপাশি পার্সি মহিলাদের থেকেও শিখেছিলেন শাড়ির আঁচল ফেলার কায়দা। অথচ পার্সি মহিলাদের নাম নিলেন না প্রধানমন্ত্রী।”

আরও পড়ুনঃ বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না- সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর

স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের কথা বলতে গিয়ে কেন একবারও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেননি প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন ব্রাত্য বসু।

দেখা যাক কবিগুরুর গুজরাত যোগ প্রসঙ্গে মোদী ঠিক কি বলেছেন…
এদিন মোদী বলেন, ‘‘গুরুদেবের বড় ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর আইসিএসে ছিলেন যখন, ওঁর নিয়োগ গুজরাতের আহমেদাবাদে হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই গুজরাত যেতেন। ওখানে বেশ লম্বা সময় কাটিয়েছেন। আহমেদাবাদে থাকাকালীন ‘বন্দি ও অমর ’ ও ‘নীরব রজনী দেখো’ লিখেছিলেন।

ক্ষুধিত পাষাণের একটা অংশ ওখানে লিখেছিলেন উনি…সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানেন্দনী দেবী (আদতে, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী) যখন আহমেদাবাদে ছিলেন, তখন দেখলেন, স্থানীয় মহিলারা শাড়ির আঁচল ডানদিকে রাখতেন। এর ফলে কাজ করতে মহিলাদের সমস্যা হত। বাঁ দিকে শাড়ির আঁচলের প্রচলন উনিই চালু করেন, লোকে তাই বলে।”

আরও পড়ুনঃ অটল জামানায় শুভেন্দু কেন বিজেপিতে যোগ দেয়নি- কাঁথিতে প্রশ্ন ফিরহাদের

বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বারবার মোদীর মুখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শোনা গিয়েছে। এদিন বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি বোলপুরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। বোলপুরে শাহের ছবির নীচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দিয়ে হোর্ডিং ঘিরে চরমে ওঠে বিতর্ক।

উত্তরায়নে বিশ্বকবির ব্যবহৃত আসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বসে আছেন, এমন ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সে নিয়েও বিতর্ক নেট দুনিয়ায়।

এরই মাঝে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান বিশ্বভারতী বলে বঙ্গ বিজেপির টুইট ঘিরেও বিতর্ক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদীর ভাষণে যেভাবে ‘ভুল’ ধরল তৃণমূল, তা রাজনৈতিকভাবে নতুন মাত্রা পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here