সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
প্রত্যাশা প্রতিশ্রুতি আর কিছু অর্থলোভীদের দৌরাত্ম্যে মিলছেনা নদী বাঁধ।যেটুকু কাজ হয়েছে সেখানেও দাঁড়িয়েছে আতঙ্ক।আজও মানুষ আতঙ্কিত,আজও রয়েছে অবহেলিত।প্রতিবাদ প্রতিকার করতে গেলে মেলে শাসকের হুমকি মারধর গালিগালাজ।
তাই মুখ বুজে মেনে নিতে হয় অপরাধীদের কাজ। ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকের নুরপুর গ্রামপঞ্চায়েত।এই পঞ্চায়েতের হাটখোলা থেকে শ্রীফল বেড়িয়া ৭০০ মিটার নদী বাঁধ অকেজ।
হুগলী নদীর পূর্ব প্রান্তে হাটখোলা শ্রীফল বেড়িয়া বাঁধ।হাওড়া পূর্ব মেদিনীপুর দক্ষিন ২৪ পরগনা তিন জেলায় মধ্যে রয়েছে হুগলী,রুপনারায়ন ও দামোদর তিনটি নদী ।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জের নদী বাঁধ পরিদর্শন দেবশ্রীর
একদিকে নদীর স্রোত অন্যদিকে জাহাজ, ছোট বার্জ চলাচল করায় ভাঙন বেড়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনার নুরপুরের হাটখোলা ও শ্রীফল বেড়িয়ার বাঁধেতে।
বাম আমলের প্রত্যাশা নিষ্পত্তি ঘটে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ।পরিদর্শন মাপযোগ বাঁধের কাজ পাওয়ার আশ্বায় স্বস্তি ফেলেছিলেন নুরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কুড়িটি গ্রামের মানুষদের ।
৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হবে কংক্রিটের বাঁধ।পরিদর্শনে আসে অভিষেক ব্যানার্জিও।দীর্ঘ ৬ বছর কেটে যাওয়ার পর ২০১৮ ই শুরু হয় কাজ।কিন্তু ভাগবাটোয়ারা আর নিজেদের মধ্যে দলাদলিতে ৭৫০ মিটারের মধ্যো ২২০ মিটার হয় কাজ।
বাকি বন্ধ হয়ে পরে।শুরু হয় জ্বল্পনা। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে যুব ও মাদার দলের কন্ট্রাক্টর কাজ করে।একদিকে রয়েছে যুব দলের কন্ট্রাক্টর গিয়াস। অন্যদিকে মাদার তৃণমূলের তামরেশ। কিন্ত সেখানে ঘটে বিপত্তি।কাজ ফেলে পালায় কন্ট্রাক্টর।
এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসিদের।ভাগবাটোয়ারাতে বন্ধ কাজ দাবি স্থানিয় বিজেপি নেতৃত্বের। তৃণমূল যুব গোষ্ঠি আর মাদার গোষ্টির মধ্যে কাজ ভাগাভাগি হলেও আজও অসম্পূর্ণ শ্রীফল বেড়িয়া বাঁধের কাজ। তাই ক্ষোভে ফুসছে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ জন।
প্রতিবাদ করলে মেলে মারধর হুমকি।বর্তমানে হাটখোলার বাঁধের অবস্থা শোচনীয়।ডায়মন্ড হারবার সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে দায় সারা শুরু হয়েছে কাজ।ভাঙা বাঁধের সামনে দিয়ে নদীর চর থেকে বালি তুলে চলছে সাময়িক বাঁধের কাজ।
যাতে রীতিমত ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বিষয়টি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ইয়াসিন গাজি জানলেও মুখ খুলতে নারাজ।কেন ? উঠছে প্রশ্ন। বাঁধের কাজ সম্পূর্ন হয়েছে কিনা জানেন না ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লক সভাপতি কালিপদ প্রামানিক।
যদিও মুখ খুলতে নারাজ ডায়মন্ড হারবার সেচ দফতরের মহকুমা শাসক।শেষে বাঁধ পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছে।মানুষের আতঙ্কের চেহারা এখন চোখে মুখে।
বাধ্য হয়ে বাঁধ বিক্ষোভে সামিল অগনিত মানুষ। বিক্ষোভের মাঝে আজও তারা আর্জি রেখেছেন নির্মিত বাঁধের সম্পূর্ন করার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584