নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খাকুড়দার একটি বিপজ্জনক বিশ্রামাগার ঠিক না করা নিয়ে শোরগোল উঠেছিল জনতার মধ্যে। অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের। ভেঙে ফেলা হল বেহাল অবস্থার ওই বিশ্রামাগারটিকে। কিছুদিন আগে ওই বিশ্রামাগারের যাত্রীদের বসার জায়গায় বেশ কিছুটা চাঙর খসে পড়ে। এতে আহত হন এক যাত্রী।

এই ঘটনার বেশ কিছুদিন আগেও একই ভাবে চাঙর খসে পড়েছিল ওই বিশ্রামাগারে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনতা বেলদা কাঁথিগামী রাস্তার খাকুড়দার উপর অবরোধ শুরু করেছিল। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ চলার পর প্রশাসনিক আশ্বাসে তা উঠে যায়।

শুধুমাত্র বিপজ্জনক বলে ১২ নং তুতরাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতর পক্ষ থেকে একটি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বোর্ড লাগানোর পর দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও কোনও কাজ না হওয়ায় যাত্রীরা পুনরায় ব্যবহার করছিল বিশ্রামাগারটি। এ দিন দ্বিতীয় বার চাঙর খসে এক ব্যক্তি আহত হওয়ায় টনক নড়ে প্রশাসনের। তাই শুক্রবার ভেঙে ফেলা হল বিশ্রামাগারটিকে।

আগাম নোটিশ দিয়ে দোকানদারদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। সেই মতো শুক্রবার পুলিশ প্রশাসনের কঠর নজরে গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় ভেঙে ফেলা হল বিশ্রামাগারটিকে। তবে বিশ্রামাগারটিকে নতুন করে গড়ে তোলার সম্ভাবনা এখন নেই।
আরও পড়ুনঃ আইনভেঙে নিশীথের চলাচল, নিশ্চুপ পুলিশ অভিযোগ উদয়নের
সূত্রের খবর, বেলদা থেকে জাহালদাগামী এই রাস্তার দুই দিকের অংশ ভেঙে নতুন করে রাস্তা সম্প্রসারিত হবে। নারায়ণগড় এর বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, “বেলদা কাঁথি এই রাস্তার দু’দিক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই মতো কতটা জায়গা প্রয়োজন তা নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত নতুন করে বিশ্রামাগারটি গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”
অপরদিকে নারায়ণগড় বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষের বক্তব্য, “বিশ্রামাগারটির বেহাল অবস্থা অনেক আগেই শুনেছি। এলাকাবাসী ও আমাদের নেতৃত্বরা আমাকে জানিয়েছিলেন।
সেই মতো ২০১৮-১৯ বর্ষে আমি আমার তহবিল থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছি সেটিকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য। রাস্তা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা রয়েছে।
তাই এই মুহূর্তে নতুন করে বিশ্রামাগারটি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এখন বিশ্রামাগারটি নতুন করে তৈরি করলে রাস্তা সম্প্রসারণের সময় সেই জায়গার মধ্যে বিশ্রামাগারটি পড়ে গেলে আবার ভাঙতে হবে।
তাই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হলে নির্দিষ্ট জায়গা দেখে নতুন করে গড়ে তোলা হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584