লিলুয়ার সরকারি হোমে নৃশংস র‍্যাগিং-এর শিকার নাবালিকা!

0
101

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

হাওড়ার লিলুয়ার সরকারি হোমে চরম নৃশংসতার শিকার নাবালিকা। ২০ দিন পর হাতে সেফটিপিনের দগদগে ক্ষত নিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে। নির্যাতিতা কিশোরী জানিয়েছে,’হোমে সবাই সবার হাতে নাম লিখছিল। সিনিয়র দিদিরা বলল, তোর হাতেও নাম লিখতে হবে। আমি রাজি ছিলাম না। জোর করে হাতে নাম লিখে দিয়েছে।’

raging | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

যদিও নির্যাতিতা হোমে ছিল কি না, সেটাই মনে করতে পারছেন না হোমের সুপার! প্রশ্নের মুখে সরকারি হোমের নিরাপত্তা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিবার। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই কিশোরীর বাড়ি হুগলিতে। স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে। গত ১৫ ডিসেম্বরের রাতে বাবা-মার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছাড়ে ওই নাবালিকা।

আরও পড়ুনঃ খড়িবাড়ি ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে মিছিল চা- শ্রমিকদের

তারপর? এদিক-সেদিক ঘুরতে ঘুরতে সে চলে আসে হাওড়া রেল স্টেশনে। সেখানে প্রথমে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে জিআরপি । শেষপর্যন্ত চাইল্ড লাইনের আধিকারিকদের মারফৎ তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাওড়ারই লিলুয়ার এই সরকারি হোমে। ২০ দিন পর যখন বাড়ি ফেরে, তখন পরিবারের লোকেরা দেখেন, ওই নাবালিকা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।

আরও পড়ুনঃ ফরাক্কায় বালি মাফিয়াদের রুখতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

কেন? বাড়ির লোককে গোটা ঘটনাটি জানায় ওই নাবালিকা। সে জানিয়েছে, ‘হোমের দিদিরাই সব। নতুনদের বড়দের কথা শুনে চলতে হয়। হোম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ নেই। ওরা নিরাপত্তারক্ষীর মতো ঘুরে বেড়ায়, কিছু দেখে না।’অভিভাবকহীন ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রাজ্যের সর্বত্র হোম চালায় সরকার।

কিন্তু সেই হোমে যারা থাকে, তাদের সুরক্ষা দেবে কে! লিলুয়াকাণ্ডের পর সেই প্রশ্ন উঠেছে। কী বলছে হোম কর্তৃপক্ষ? লিলুয়ার ওই হোমের সুপারের দাবি, ‘কোনও অভিযোগ আসেনি। হোম ওই নাবালিকা ছিল কিনা, তা মনে করতে পারছি না’! উল্লেখ্য, সরকারি হোমে কোনও নাবালিকা এলে, নাম নথিভুক্ত করে রাখা হয়। সেক্ষেত্রে সুপার কীভাবে ঘটনাটি বেমালুম ভুলে গেলেন? প্রশ্ন উঠেছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here