নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
দুই সহকর্মীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগে উত্তম সূত্রধরকে বুধবার রায়গঞ্জ আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক তার জামিনের আবেদন নাকচ করে আটদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ ভ্যানে করে রায়গঞ্জ থানা থেকে কোর্টে পৌঁছানোর পরে সাময়িক সময়ের ফাঁকে ধৃত উত্তম বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে।
তিনি জানিয়েছেন, লাগাতার অত্যাচার করতেন বাহিনীর আধিকারিকরা। কখনও জওয়ানের হাত থেকে খাবার ছিনিয়ে নেওয়া হত। বাড়িতে ফোন করতে চাইলে, তারা অনুমতি দিতেননা। বিএসএফ জওয়ানদের ওপর এ ভাবে প্রায়ই চালানো হত মানসিক অত্যাচার।
শুধু রায়গঞ্জের উত্তম নয়, এর আগেও সেনা বাহিনীর আধিকারিকদের অত্যাচার নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জওয়ানরা সরব হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, বিএসএফের ১৪৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত উত্তমের বাড়ি ত্রিপুরায়।
আরও পড়ুনঃ এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় পাকড়াও স্বঘোষিত সমাজসেবী
মঙ্গলবার ভোররাতে রায়গঞ্জের ভাটালোর মালদখণ্ড সীমান্ত পরিদর্শনে যান মহিন্দর। সঙ্গে ছিলেন অনুজ কুমার। তখন মহিন্দরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় উত্তমের। সেসময় ধৈর্য্যচ্যুত হয়ে তিনি গুলি করেন বলে অভিযোগ।
তার বিরুদ্ধে ৩০২/ ২৫/ ২৭ ধারায় মামলা রুজু করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রায়গঞ্জের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ জওয়ান উত্তম সূত্রধরের রাইফেলের গুলিতে তাই ঝাঁঝরা হয়ে যান বিএসএফের ইন্সপেক্টর মহিন্দর সিং ভাট্টি (৫৭) ও কনস্টেবল অনুজ কুমার (৩৩)।
প্রথমে নিজের স্বয়ংক্রিয় ইনসাস রাইফেল থেকে এবং পরে অনুজ কুমারের রাইফেল কেড়ে নিয়ে নির্বিচারে গুলি চালান উত্তম। গুলি চালিয়ে হত্যা করে তিনি বিএসএফের কর্তার কাছে নিজেই আত্মসমর্পন করেছিলেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584