শিব শংকর চ্যাটার্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

কোন সরকারি উদ্যোগ নয়।পুরোটাই চলছে বেসরকারিভাবে বেনারসের ভাদোই থেকে আসা কার্পেট তৈরি বিভিন্ন জিনিস পত্র।যাকে কেন্দ্র করেই আজ গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভর।আর সেরকমই ছবি ক্যামেরায় বন্দি করা হলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভা অন্তর্গত ৭নম্বর ওয়ার্ডের জয়দেবপুর গ্রামে।এলাকায় কোন কল কারখানা না থাকায় গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভর হতে এ হস্তশিল্পকেই বেছে নিয়েছে অর্থাৎ কার্পেট তৈরির কাজ।কার্পেট শিল্পীদের কাছ থেকে জানা গেছে এক একটি কার্পেট তৈরী করতে সময় লাগে ২৫-৩০ জন।এও জানা গেছে যে এলাকার ৪-৫ জন ছোট ছোট দল হিসাবে এই কার্পেট তৈরীর সঙ্গে যুক্ত।এই কার্পেট তৈরীর ক্ষেত্রে মহিলা শিল্পীর সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। গ্রামের মহিলারা তাদের বাড়ির কাজকর্ম করার পর সময় বের করে কার্পেট বোনেন।এক একটা কার্পেট তৈরীর জন্য কার্পেট শিল্পীরা পারিশ্রমিক পান কুড়ি থেকে শুরু করে চল্লিশ হাজার টাকা।অভাবের সংসারে স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি তারা ঘরে বসেই কার্পেট তৈরি করে কিছুটা অর্থ উপার্জন করে সংসারের কাজে লাগান বলে এদিন জানিয়েছেন গঙ্গারামপুরের কার্পেট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলা কার্পেট শিল্পী কনিকা রায়। জয়দেবপুরের পাশাপাশি আরো কিছু গ্রামে চলছে কার্পেট তৈরির কাজ।এখনো সেই অর্থে কোন সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় এই শিল্প চলছে একক প্রচেষ্টা অথবা দলগত উদ্যোগের উপর নির্ভর করেই।তবে এই বিষয়ে শিল্প দফতরের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আধিকারিকরা এদিন জানিয়েছেন কার্পেট শিল্পীরা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে চাইলে তারা তাদেরকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুনঃ অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে মারধরের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584