পুলিশের গাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই বিজেপি কর্মী

0
41

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ গ্রেপ্তার ২ বিজেপি নেতা। ধৃত ওই দুই বিজেপি নেতার নাম সঞ্জয় রায়, খারিজা বালাডাঙ্গা বুথের সভাপতি ও আনন্দ চন্দ বিজেপি কর্মী। জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ভেটাগুড়ি এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে হিংসা চলছে।

Bullet shots on police van | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এলাকার রাজনৈতিক ক্ষমতা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে চলছে বিজেপি-তৃনমূল লড়াই। শনিবার গভীর রাতে এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। তাতে ৩ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে রয়েছে দিনহাটা থানার এএসআই অজিত শা সহ আর দুই কনস্টেবল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভেটাগুড়ি এলাকায় বিজেপি-তৃনমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে ঘটনায় গুলি, বোমাবাজি এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তারপর কিছু দুষ্কৃতী পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মী আহত হয় এবং পুলিশের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে দিনহাটার নাজিরহাট, গোসানিমারি, সাহেবগঞ্জ, গীতালদহ, বুড়িরহাট, বাসন্তিরহাট, জরাবাড়ি, পুঁটিমারী, ভেটাগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটেই চলেছে। এ লড়াইয়ে আতঙ্কিত সাধারন মানুষ। পূজার মুখে লাটে উঠেছে ব্যবসা। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের সাধারন কাজ কর্ম। এই অবস্থায় হতাশ ব্যবসায়ী থেকে সাধারন মানুষ।

দিনহাটা থানার পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত রাতে ভেটাগুড়ি এলাকায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। তাতে তিন জন পুলিশ কর্মী আহত হয়। তাদের মধ্যে একজন এএসআই সহ দুই কনস্টেবল রয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা যেভাবে পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সম্ভারনায় ছিল। কিন্তু গাড়িটি বড় থাকায় প্রানে বাঁচে পুলিশ কর্মীরা। তবুও তাদের কাঁচের টুকরো সারা শরীরে ঢুকে যায় আহত হয়। ওই ঘটনার জেরে রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে দিনহাটার বিধায়ক তথা তৃনমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেন, ‘বিজেপি ভেটাগুড়িকে মুক্তাঞ্চলে পরিনত করতে চাইছে। এই লক্ষেই তারা গোটা এলাকা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখতে চাইছে। কোচবিহার কেন্দ্রের সাংসদের ইন্ধনেই এই সব ঘটনা ঘটছে।’

উদয়ন বাবু আরও বলেন, “১৫ দিনের মধ্যে তৃনমূলকে জেলা থেকে উৎখাত করার কথা ঘোষণা করেছেন সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। আর তাতেই অতি উৎসাহী হয়ে বিজেপি কিছু কর্মী লাগামহীন সন্ত্রাসের পথ বেঁছে নিয়েছে। এই সব নিয়ে পুলিশের ভাল করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

আরও পড়ুনঃ অ্যাসিড আক্রমণকারী স্বদেশ কুইলাকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত

এবিষয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন,“পুলিশ এই ঘটনায় আমাদের দুই কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তাদেরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে গ্রেপ্তার করা হয়। বিজেপি নয় তৃনমূলই পুলিশের গাড়ির উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ মালতী দেবীর। রাজনৈতিক জমি হারিয়ে এখন সন্ত্রাসের পথ বেঁচে নিয়ে তৃনমূল।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here