রাস্তা জুড়ে ইমারতি দ্রব্য,হোঁচট খাচ্ছে পথচারী থেকে স্কুলমুখী কন্যাশ্রী

0
151

নিজস্ব সংবাদদাতা,দাসপুরঃ

দখল রাস্তা,পথ চলা দূরহ, বিপদে যাত্রীসাধারণ! কুছ পরোয়া নেই স্থানীয় প্রশাসনের!বালি ইঁট স্টোন চিপস লাট করে সারি-সারি পড়ে রয়েছে ব্যস্ত রাস্তার দুই ধারে৷রমরমিয়ে ব্যবসা চালাতে রাস্তার দুই ধার এভাবেই নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া ইমারতি ব্যবসায়ীরা!গ্রামীন সড়ক যোজনার স্বল্প দৈর্ঘের রাস্তা থেকে মাঝারি ও চওড়া সড়ক ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানা জুড়ে চিত্রটা এমনই।রাস্তার ওপরেই দিনের পর দিন ইমারতি সামগ্রী রেখে একেবারে নিশ্চিন্তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা৷

এভাবেই চলে ব্যবসা

ক্রমশ সংকীর্ণ ওই সকল সড়কে যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন অনেকেই৷গোপীগঞ্জ-সুলতাননগর, চাঁইপাট-রানিচক, ফরিদপুর-জোতঘনশ্যাম,গৌরা-শ্যামগঞ্জ,দাসপুর-সাগরপুর সহ একাধিক রাস্তার হাল এখন এমনই৷প্রাশাসনের তরফে ব্যবসায়ীদের মাইক প্রচার করে একাধিক বার সতর্ক করা হয়েছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি দাবি বাসীন্দাদের৷সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় গ্রামের রাস্তাগুলি যাতে কোন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় তাঁর জন্য ভারি যানবাহন চলাচলে রাশ টানতে বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অথচ ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে ওভার লোড ট্রাক নিয়ে অবাধে ইমারতি ব্যবসা চলানোর অভিযোগ তুলছেন ওই সকল এলাকার বাসিন্দারা৷চাঁইপাটের বাসিন্দা সুকুমার রুইদাস বলেন, প্রতিদিন আমি গোপীগঞ্জ সড়ক ধরে প্রাতঃভ্রমন করি৷ রাস্তার দুই ধারে পড়ে থাকা বালি,স্টোনচিপস রাস্তার ওপরে এসে পড়ে৷বেশ কয়েক বার তো হোঁচট খেয়ে পড়েও গিয়েছিলাম৷দাসপুর তেতুলতলা গঞ্জের বিজয় মন্ডল বলেন,রানিচক সড়ক ধরে চাঁইপাট স্কুলে বহু ছাত্রছাত্রী নিত্য যাওয়া আসা করে৷রাস্তায় পড়ে থাকা বালিতে’কন্যাশ্রীর সাইকেল’ আটকে পড়েছে লক্ষ করেছি বেশ কয়েক বার৷বাসিন্দাদের দাবি এই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের জানালে উল্টে প্রশ্নের সুরে যুক্তি দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন,রাস্তার কাজের জন্য জিনিস,রাখবো কোথায়? আবার কেউ কেউ তো রীতিমত চোখ রাঙিয়ে বলেন, এটা তোমার জায়গা?তুমি বলবে কেন?
অবশ্য এই সকল যুক্তি যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার কৌশলী অজুহাত তেমনটাই দাবি ভুক্তভোগীদের৷ 

দাসপুর এলাকার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন,ক্রেতাদের সাথে বাড়ির কাছে পর্যন্ত ইমারতি দ্রব্যের পৌঁছে দেওয়া চুক্তি হয়ে থাকে৷সেই মতো রাস্তার এক ধারে ওই দ্রব্য মজুত করতে হয়৷ক্রেতারা ওই দ্রব্য দ্রুত সরিয়ে না নিয়ে গেলে,আমরা কী করতে পারি?ব্যবসা ও ক্রেতাদের স্বার্থে আমাদের এটুকু করতে হয়৷

আরও পড়ুনঃ সাবওয়ের দাবিতে গ্ৰামবাসীদের পথ অবরোধ

সত্যটা যাই হোক,এর ফলে দিনের পর দিন যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের তা প্রমান করছে বাস্তব চিত্রটাই৷

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here