সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
সামনেই বড় দিন। আসছে কেকের মরশুম। নাওয়া-খাওয়া ফেলে বেকারিগুলি এখন কেক প্রস্তুতিতে মেতে রয়েছে। গত বছর ডিম এর দাম প্রচুর ছিল ফলে বেকারি মালিকদের তা গলার কাঁটা হয়ে উঠছিল৷ যে ভাবে ডিমের দাম বারছিল তাতে ‘লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে যাবে’ বলে শঙ্কা ছিল বেকারি মালিকদের৷ এবারে অবশ্য তা নেই। বর্ধমানের বেকারিগুলিতে তাই জোরকদমে এখন কেক তৈরির প্রস্তুতি৷ এই কারখানাগুলিতে বছরের বেশিরভাগ সময় পাউরুটি আর বিস্কুট তৈরি করলেও, বর্তমানে বেকারিগুলিতে নানা ধরণের কেক তৈরি হচ্ছে। গতবছর ডিমের দাম বাড়ায় কেকের দামও ছিল বেশি। তবে এ বছরে যাতে সাধ্যের মধ্যে সবাই কেক কিনতে পারে সে ব্যবস্থা করছেন বেকারি মালিকরা। এদিন বেকারিতে গিয়ে দেখা যায়, কর্মীদের দম ফেলার ফুরসত নেই৷ কেউ ময়দা মাখছেন, কেউ আবার চুল্লিতে কেকের ট্রে ঢোকানোয় ব্যস্ত৷ বর্ধমান স্টেশন বাজারের কেক ক্রেতা মৃন্ময় ঘোষ বলেন, কেক ছাড়া বড়দিন ভাবা যায়না। বড়দিন আর দেরী নেই। কেকের প্রতি ভালোবাসা থেকে কয়েকদিন আগে থেকেই কেক কিনছি। নবাবহাটের কেক বিক্রেতা বলেন, বিভিন্ন ধরনের কেক রাখতে হয়। তার কারণ শুধু এক ধরনের কেক মানুষ পছন্দ করেন না। তাই ফ্রুট ফ্যালেবার থেকে শুরু করে ডিম ছাড়া নিরামিষ কেক সবই রাখতে হয়। দাম কেমন থাকে? বিক্রেতারা বলছেন বিভিন্ন ধরনের কেকের ওপর দাম নির্ধারিত হয়। ৫০-৬০ টাকার কেক রয়েছে আবার দুইশ আড়াইশো টাকার উপরের কেক রয়েছে। সব ধরনের মানুষদের জন্যই সব ধরনের কেক রাখা আছে মানুষ পছন্দ মত এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পর পর মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584