নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োগের আদতে কোনও প্রয়োজনই ছিল না–এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদেশি সংবাদমাধ্যম ‘গাল্ফ নিউজ’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে হাসিনা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানিয়েছিলেন এনআরসি একান্তই ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশ জুড়ে কেন এরকম আইন প্রনয়ণ করছেন সত্যিই জানা নেই তাঁর।
১১ ডিসেম্বর দেশে সিএএ প্রণিত হয়। এর আগে এটি ছিল ক্যাব অর্থাৎ সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল। লোকসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন ওই তিন দেশের ভারতীয় নাগরিকরা অত্যাচারিত এবং সংখ্যা লঘু নিপীড়ণের শিকার। তাই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির জন্য এই আইন প্রনয়ণ বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ মসজিদেই বিয়ে হিন্দু যুগলের, সম্প্রীতির অনন্য নজির কেরলে
তবে এ সম্পর্কে হাসিনা বলেন, সিএএ একান্ত ভাবেই ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়, তবুও এতে কেন বাংলাদেশকে জড়ানো হচ্ছে তিনি জানেন না। বাংলাদেশের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের পক্ষে দেশ ছাড়া সম্ভব না কারণ এতদিন পর্যন্ত ভারতেও কোনও ‘রিভার্স মাইগ্রেশন’ ব্যবস্থা নেই। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারতে বাংলাদেশের সংখ্যা লঘুরা এলে তারা যে অত্যাচারিত হবেন না, তার কী নিশ্চয়তা আছে।
পাশাপাশি ভারতে সিএএ জারি হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের ভারত সফরের কিছু বৈঠক ক্যানসেল করেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমিন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আরও পড়ুনঃ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মেরুকরণকে প্রাধান্য দিচ্ছে বিজেপি, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা উপজাতিদের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, মোদি সরকার যদি অনুপ্রবেশকারীদেরই ভারতে জায়গা করে দিতে চান তাহলে তিনি রোহিঙ্গাদের কথা তুলছেন না কেন।
ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে প্রায় মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাদের বাস। তাদের একটা ব্যবস্থা যতদিন না করা যাবে, ততদিন দক্ষিণ এশীয় সীমান্তে নিরাপত্তা এবং সামাজিক চাপানউতোর লেগেই থাকবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584