শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করাতে এসে আরজিকর হাসপাতাল আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছিল চন্দননগরের সদ্যোজাত। ১০ দিন পর শিশুটির মা বাবাকে জানানো হয়েছে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাহলে শিশুটি দেহ গেল কোথায়? দেহ লোপাটের মামলায় রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ জুলাই। সেদিনই রাজ্যকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিন হাইকোর্টের মামালাকারীর আইনজীবী জানান, গত ১৩ জুন চন্দননগরের বাসিন্দা দেবযানী মণ্ডল ও বাবুন মণ্ডলের সদ্যোজাতকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তারপর থেকে আর শিশুর দেখা পায়নি পরিবার। যদিও লকডাউনের মধ্যে রোজ চন্দননগর থেকে হাসপাতালে এসে সন্তানের জন্য স্তন্যদুগ্ধ দিয়ে দিয়েছেন মৃত শিশুটির মা।
আরও পড়ুনঃ শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতাল থেকে উধাও সদ্যোজাত, ধুন্ধুমার আরজিকরে
তবে বেশ কয়েকদিন ওই সদ্যোজাত শিশুকে আর তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হলে বাচ্চাটির বাবা জোর করে হাসপাতালে ঢোকেন। বাচ্চাদের বেডের কাছে গিয়ে আর সেই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল জানায় তার মৃত্যু হয়েছে। শিশুটিকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শিশুটির বাবা-মায়ের।
আরও পড়ুনঃ বিহারে বজ্রপাতে মৃত ২৬
আইনজীবীর দাবি, ২৬ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ভর্তির ২ দিন পরেই ১৫ জুন মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। তাহলে এতো দিন জানানো হল না কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিশুটির পরিবার। আসলে কি লুকোতে চাইছে হাসপাতাল? এবার আদালতে সে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রাজ্যকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584