শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সোমবারই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ জন ব্যবসায়ীকে তলব করেছিল সিবিআই। আর মঙ্গলবার বেলা থেকেই দফায় দফায় একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে শুরু হল তল্লাশি।কয়লা পাচারের কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, কলকাতা এবং আশেপাশে ৫ জায়গায় চলেছে সিবিআইয়ের তল্লাশি। তালিকায় রয়েছে বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়া সহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর নাম।সূত্রের খবর, এর আগেও তার খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে ছিল আয়কর দফতর। কিন্তু সেই হানার আগে থেকেই পলাতক তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে লালার মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হত।
আরও পড়ুনঃ শাহের অভিযোগ মিথ্যার বেসাতি, পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি সৌগতর
বেআইনিভাবে কয়লা তুলে তা পাচার করে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করতেন লালা। সেই টাকার একটা অংশ পাঠানো হত কলকাতায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কাছে, যাতে প্রশাসন কয়লা পাচারে বাধা না দেয়। লালার এক সহযোগী নীরজ সিংহকে জেরা করেও এই ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে বলে ইঙ্গিত সিবিআই আধিকারিকদের।পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বাজারে লগ্নি করতেন লালা। তাঁর বাড়ি এবং অফিসে হানা দিয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি পেয়েছেন যা থেকে উঠে এসেছে এই ব্যবসায়ীদের নাম।
সূত্রের খবর, এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকার একটা বড় অংশ লেনদেন করা হত। সিবিআই আধিকারিকদের একাংশের দাবি, লালার এই কয়লা পাচারের কারবারে সক্রিয়ভাবে যোগ রয়েছে ইসিএল, কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের একাংশের।
আরও পড়ুনঃ বুধবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিঃ মুখ্যমন্ত্রী
যোগ রয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালীর যাঁরা সরাসরি কয়লা পাচারের টাকার ভাগ পেয়েছেন এবং বিনিময়ে লালার বেআইনি কারবার চালাতে সাহায্য করেছেন। কিন্তু এখন বিষয়টি তদন্ত চলছে দেখে অনেকেই পালিয়ে গিয়েছেন বা গা-ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে গ্রেফতারির আশঙ্কায় লালা কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছেন সিবিআইয়ের করা মামলার বিরুদ্ধে। সেই কারণেই ফের তল্লাশি অভিযানে নামল সিবিআই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584