জঙ্গলমহলের লোধা-শবর গ্রামগুলিতে জীবাণুমুক্তের দ্রব্যাদি বিতরণ করলো কেন্দ্রীয় বাহিনী

0
75

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

জীবন যাপনের সঙ্গে সংগ্রাম কথাটির এক আত্মিক যোগাযোগ চিরকালীন। বর্তমানে নোভেল করোনা ভাইরাসের এক অচেনা আতংকে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। অর্থনীতি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে সমৃদ্ধশালী বিশ্বের তাবড় তাবড় ইউরোপীয় দেশগুলিও আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় পৃথিবী জুড়ে চলছে কেবলই মৃত্যু মিছিল।

Civic action | newsfront.co
জীবাণুনাশক ত্রান বিলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। নিজস্ব চিত্র

এহেন মৃত্যু মিছিল চলতে থাকলে একদিন হয়তো সৌর পরিবারে প্রানের অস্বিত্বটাই থাকবে না। তাই রাতের পর রাত জেগে শুধুমাত্র ভ্যাকসিন তৈরীর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সব দেশের বিজ্ঞানীরা।আর ভ্যাকসিন যতদিন না তৈরী হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত করোনা ঠেকাতে একমাত্র পথ হল লকডাউন। অন্তত বিশেষজ্ঞদের মতামত এমনটাই বলছে।

Central force | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

তাই দীর্ঘ মেয়াদি এই লকডাউনে জঙ্গলমহলের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর অবস্থা দিনের পর দিন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। জানা যায়, জঙ্গল থেকে কাঠ , পাতা কুড়িয়ে দিন গুজরান করেন পডিহা, রাওতাড়া, পূর্ণাপানি, ঠাকুরপাড়া সহ জঙ্গল মহলের প্রায় দশ বারোটি গ্রামের বাসিন্দারা। লকডাউনে জঙ্গল থেকে কাঠ, পাতা সংগ্রহ করার ছাড় রয়েছে, কিন্তু বাজার ও দোকান বন্ধ থাকায় তা বিক্রি হবে কোথায়? এই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুনঃ আচমকাই শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

distribution | newsfront.co
সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইন। নিজস্ব চিত্র

তবে একদা মাওবাদীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত এই গ্রামগুলিতে চলতো মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেনজির রাজ। মূলত লালগড় থানা এলাকার এই গ্রামগুলিতে রাতের অন্ধকার নামলে, নালা গুলো ভরে উঠতো রক্তে। আর এটাই ছিল তৎকালীন জঙ্গলমহলের চিত্র। তবে মাওবাদী দমনের পর থেকেই জঙ্গলমহলে গড়ে ওঠে সিআরপিএফ ক্যাম্প l

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে মানবিক উদ্যোগে শামিল বেহালার “অশোক স্মৃতি সংঘ”

বর্তমানে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলে মোতায়েন থাকা সিআরপিএফের ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান, বিভিন্ন জন কল্যাণমূলক কর্মসূচি পালন করার উদ্যোগ নিয়েছেl তাই শনিবার পূর্ণাপানি, জঙ্গলখাস, করমশোল এবং পাশের রাওতাড়া সহ মোট ৮টি গ্রামে,এই ব্যাটেলিয়ানের তরফে মারণ ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য দেড় হাজার মানুষকে সাবান, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, মাস্ক ও রুমাল বিতরণ করা হল।

যদিও ব্যাটেলিয়ানের কমাণ্ড বজরঙ্গ লাল বলেন “এই জটিল পরিস্থিতিতে আমরা বাহিনীর পক্ষ থেকে সমস্ত গ্রামগুলিতে খাবার, মাস্ক ও রেশন দ্রব্য বিতরণ করছি। এমনকি লকডাউন যতদিন চলবে, আমরা এই ধরনের দুঃস্থ মানুষদের গ্রামগুলিতে খাবার ও রেশন বিতরণ করে যাব। আর সে কারণেই আজ আমরা স্যানিটাইজ দ্রব্য বিতরণ করলাম” l

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here