শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেপাল সফরের অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগেও ইতালি ও চীন থেকে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি কিন্তু সফরের অনুমতি একইভাবে দেওয়া হয়নি। নেপালের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের ২৪তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাতে যোগ দিতেই গতকাল শুক্রবার কাঠমান্ডু যাওয়ার কথা ছিল মমতার। মমতাকে আমন্ত্রণ জানান নেপাল কংগ্রেসের সভাপতি ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেওবা। ১০ ডিসেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।
আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই নেপাল সফরের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেন মমতা। অনুমতি না পাওয়ায় তাঁর নেপাল সফর বাতিল হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের বিদেশ সফরে যেতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হয়।
গত অক্টোবরেও ইতালির রোমে এক শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রিত হন মমতা। সেখানেও ‘না’ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, এমন সম্মেলনে একজন মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণ করা দৃষ্টিকটু ব্যাপার। সেই ঘটনায় মমতা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন। এরও আগে ২০১৮ সালের জুনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার মমতাকে ওই দুই সফরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী
মমতার সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তুলে বলেছে, একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল কীভাবে রাজ্যের একজন মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আমন্ত্রণ জানাতে পারে? যদিও সফর বাতিলের ব্যাপারটা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফ থেকে কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর আত্মজীবনীতে
তবে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই আমন্ত্রিত হয়েছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও হরিশ দ্বিবেদী ওই সম্মেলনে যোগ দিতে নেপাল সফরে গেছেন। অবশ্য সিপিএম ও সিপিআই থেকে কেউ সম্মেলনে যোগ দেননি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584