ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ম নীতি স্থির করতে ও বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যসভার কাছে ৯ জানুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত সময় চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সিএএ-র নীতি পরিমার্জনের কোনো পরিকল্পনা এখনই নেই কেন্দ্রের, বুধবার রাজ্যসভার বাদল অধিবেশনে সরকারের তরফে একথা জানিয়ে সময় চাইলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের বাজেট অধিবেশনে এই বিষয়ে কেন্দ্রকে ৯জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার তরফে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এরপরে,সিএএ-র নীতি নির্ধারণের জন্য মঙ্গলবার লোকসভার কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানায় কেন্দ্র।
সিএএ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা ‘সংখ্যালঘু’ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ, ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ আইনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ মুসলিম সম্প্রদায় সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের নতুন নাগরিকত্বের তথ্য সিবিআইয়ের হাতে
২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করে সিএএ আইন কার্যকরের ছাড়পত্র দেন এবং ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি তা কার্যকর করার নোটিস জারি হয়েছিল। তারপরেই এই আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ।
আরও পড়ুনঃ অধীর চৌধুরীর আবেদন বিবেচনার আশ্বাস কেন্দ্রীয় সরকারের
সারা দেশে সিএএ বিরোধী যে বিক্ষোভ তৈরি হয় তাতে প্রধান দাবি ওঠে, এই আইনে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক আচরণের পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার, যা ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী। সেসময় এই আইনের নিয়ম নির্ধারণের প্রক্রিয়া তথা বাস্তবায়ন করা থেকে কার্যত পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাশাপাশি, বিক্ষোভ প্রশমিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নিয়মনীতি পরিবর্তনের বিষয়েও বার্তা দেওয়া হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584