হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থীদের আর মিলবে না কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

0
228

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

বাংলার ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে দলীয় কোন্দল। পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে দল বদলুদের মুড়ি মুড়কির মতো প্রার্থী করাই ডুবিয়েছে দলকে। সেই সঙ্গেই চলছে একে অপরকে দোষারোপ করা। একদম আনকোরাদের ভোটের আগে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে নবাগতদের ঢালাও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে চলছে অন্তর্দ্বন্দ্ব।

rajjya bjp | newsfront.co

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রে জানা যাচ্ছে, কোনও নেতার ওপরে হামলার আশঙ্কা থাকলে বা প্রাণনাশের হুমকি থাকলে তবেই রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট নেতা বা নেত্রীকে নিরাপত্তা দেয়। তিনি কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাবেন তা নির্দিষ্ট হয় সেই নেতার অবস্থান অনুযায়ী।

কিন্তু বাংলায় নির্বাচনের আগে থেকে যত নেতা অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বা যেসব অভিনেতা অভিনেত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে যতজনকে নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করেছে সকলকেই দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। এই ঢালাও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে রাজ্য বিজেপিতে এতটাই কোন্দল শুরু হয়েছে যে, নির্বাচনের আগে পাওয়া অনেকের নিরাপত্তা এবার তুলে নিতে চাইছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চাইছেন এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। বিজেপি সাংসদ হিসেবে নিশীথ অধিকারী এবং জগন্নাথ সরকার বিধানসভা ভোটে জিতেও ইস্তফা দিয়েছেন। ফলত এখন রাজ্যে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়-সহ অনেকে নির্বাচনের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতেন। সেগুলি বহাল আছে ও তার পাশাপাশি ৬৬ জন বিধায়ক বিভিন্ন ক্যাটাগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

বেশিরভাগকেই এক্স ক্যাটিগরি নিরাপত্তা দেওয়া হলেও শুভেন্দু-মুকুল পান ‘জেড’ ক্যাটিগরি, আরও তিন বিধায়ক পান ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরি। বেশ কয়েকজন সাংসদও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান। প্রাক বিধানসভা নির্বাচন সময়ে যাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল দলে বিতর্ক মূলত তাঁদের নিয়েই বেঁধেছে।

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, হিরণ চট্টোপাধ্যায়রা এরা সকলেই অভিনয় জগৎ থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মাত্রই পেয়ে যান ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা । বিজেপি-র হয়ে প্রচারে নামা মিঠুন চক্রবর্তীকে দেওয়া হয় ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা।

এছাড়াও অনেক প্রার্থী এবং নেতা আবেদন করেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য তাদের সকলের আবেদন অনুযায়ী নিরাপত্তা দেওয়াও হয়। রাজ্য বিজেপি অন্দরের খবর, ওই সব আবেদনের সুপারিশ করতেন রাজ্যস্তরের দুই প্রথমসারির নেতা। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আর চাইছেন না ভোটে ‘হেরো’ প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বহল রাখতে। তাঁদের নিরাপত্তা তুলে নিয়ে সেই জওয়ানদের ব্যবহার করা হোক বিজয়ীদের নিরাপত্তায় এমনটাই মত তাঁদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও তাতে সায় দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সূত্রে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here