নিউজফ্রন্ট, ওয়েব ডেস্কঃ
পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে শুক্রবার সর্বদল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ভার্চুয়াল বৈঠকেই মোদী বলেছিলেন, ‘কেউ ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করেনি। ভারতের সেনা চৌকিও কেউ দখল করতে পারেনি।‘ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অসঙ্গতির ইঙ্গিত দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রাহুল গান্ধী জোড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মোদীর দিকে। প্রথমত, আমাদের সৈনিকরা মারা পড়ল কেন? দ্বিতীয়ত, কোথায় তাঁরা মারা গিয়েছিল? গালওয়ানে সংঘর্ষের পরদিন বিদেশমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “চিনারা একতরফা সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে চেয়েছিল। তাই সংঘর্ষ শুরু হয়।”
PM has surrendered Indian territory to Chinese aggression.
If the land was Chinese:
1. Why were our soldiers killed?
2. Where were they killed? pic.twitter.com/vZFVqtu3fD— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 20, 2020
বিরোধীদের অভিযোগ, স্থিতাবস্থা নষ্ট করা বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে এদিন কিছু জানানো হয়নি। ১৫ জুন লাদাখে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছেন। সেখানে এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী জানাননি বলে দাবি করেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ নেপাল সংসদের উচ্চকক্ষেও ছাড়পত্র পেল ভারতীয় ভূখণ্ড নিয়ে মানচিত্র বিল
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার বলে, ওই সংঘর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছিলেন, তার ভুল অর্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। সরকার থেকে এদিন স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, “১৬ বিহার রেজিমেন্টের সেনাদের আত্মদানের ফলে চিনারা সীমান্তে কোনও কাঠামো তৈরি করতে পারেনি। সীমান্ত পেরিয়ে তাঁদের আমাদের দেশে প্রবেশ করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ দ্বিগুণ আসন জিতে রাজ্যসভায় সুবিধাজনক জায়গায় গেরুয়াশিবির
অন্যদিকে, এদিন সকালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদম্বরম প্রশ্ন তোলেন সংঘর্ষের জন্য ভারতকে দায়ী করেছে চিন। গালওয়ান তাদের বলে ফের দাবি করেছে চিন। বেজিংয়ের এই দাবি প্রসঙ্গে সরকারের কি জবাব?’ এছাড়াও তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কোনও চিনা সেনা লাদাখের ভারতীয় ভূখণ্ডেই না প্রবেশ করবে তাহলে ২০ জন সেনাকর্মীকে কেন চরম আত্মত্যাগ করতে হল?’ গালওয়ান নিয়ে কেন্দ্র আজ উত্তর না দিলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে বলেও জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584