নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ক্যাগের রিপোর্টে: ৪৭.২৭২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের অর্থ অন্যত্র খরচ করে আইন ভেঙেছে কেন্দ্র।
জিএসটি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ক্যাগের রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে জানিয়েছিলেন, কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া ছাড়া জিএসটির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অন্য কোনও আইন নেই।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তিনি একথা জানিয়েছেন বলে দাবি করেন সীতারমণ। যদিও ক্যাগের রিপোর্টে জানা গেছে, ক্ষতিপূরণ ঘিরে কেন্দ্র নিজেই সিএফআইয়ের আইন লঙ্ঘন করেছে।
ক্যাগের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জিএসটির ৪৭,২৭২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ঘিরে কেন্দ্র নিজেই সিএফআইয়ের আইন ভেঙেছে। জিএসটি কম্পেনশেন সেস ফান্ডে টাকা না পাঠিয়ে, সিএফআইতে এই টাকা ফেরত পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুনঃ রিপাবলিক ভারতের সম্পাদককে চড় কষালেন সহ সাংবাদিকই
২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-১৯ সালের ঘটনা- যেখানে কেন্দ্র, ওই আর্থিক মূল্য অন্য খাতে খরচ করেছে বলে ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে।এইভাবেই ওই অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতি কম দেখিয়েছে কেন্দ্র। যা সুনির্দিষ্ট ভাবে আইন লঙ্ঘন।
অডিটের সময় দেখা গিয়েছে, স্টেটমেন্ট ৮, ৯, ১৩-তে যে পরিমাণ শুল্ক সংগ্রহের তথ্য রয়েছে, আর যে অর্থমূল্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ শুল্কের ফান্ডে জমা পড়েছে, তাতে বড়সড় গরমিল রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা আজ
এর ফলে ফান্ডের অর্থে কমতি দেখা যায়, যা শর্ট ক্রেডিটিং এর নামান্তর। এই ঘটনার জেরে ২০১৭ সালের জিএসটি কমপেনসেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালের হিসাবে সরকার নিজেই আইন ভেঙেছে বলে ক্যাগের রিপোর্টে উঠে আসছে।
কেন্দ্র জিএসটি কম্পেনসেশন ফান্ডে সংগৃহিত শুল্ক না রেখে ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সিএফআই-তে রাখে। যে ফান্ড থেকে অন্যত্র বহু ক্ষেত্রে সরকার টাকা খরচ করেছে বলে ক্যাগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণের ঝুঁকি জানিয়েও দুষ্কৃতী গুলিতে নিহত শ্রীনগরের আইনজীবী
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, ক্যাগের রিপোর্ট পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রক এই বিষয়টি নিয়ে যথোপোযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে এবং যথাযোগ্য জায়গায় আর্থিক ট্রান্সফারের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র।
জিএসটি কম্পেনসেশন সেস অ্যাক্ট অনুযায়ী, গোটা বছরে যে শুল্ক সংগৃহিত হবে তা রাখা হবে জিএসটি কম্পেনসেশন ফান্ডে। যে অ্যাকাউন্টটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট হিসাবে গণ্য হয়। এই আইনে সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা রয়েছে যে, এই অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যগুলিকে তখনই টাকা দেওয়া হবে যদি তাদের রাজস্বে ঘাটতি পড়ে।
এই মুহূর্তে, কোভিড পরিস্থিতিতে সব রাজ্যই কেন্দ্রের কাছে এই রাজস্বের বিষয়টি জানিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। এরপরই নির্মলা সীতারমন সংসদে ওই বক্তব্য রাখেন। ঘটনা চক্রে তারপরই ক্যাগের রিপোর্টে হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছে। বিষয়টি জানার পর সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা কতটা কার্যকরী হয় এখন সেটিই দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584