রাজনৈতিক চক্রান্তে বন্ধ হচ্ছে বাজি! প্রতিবাদ সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির

0
98

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

বাজির ধোঁয়ায় করোনা রোগীদের মৃত্যু বেড়ে যেতে পারে, এমন দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসকদের সংগঠন। কিন্তু এই দাবির কোনও পরীক্ষিত তথ্য নেই এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার কলকাতার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই দাবি করলেন সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়।

press conference | newsfront.co
সাংবাদিক সম্মেলন। নিজস্ব চিত্র

এ দিন তিনি বলেন, ‘বাজি শিল্পের সঙ্গে ৩১ লক্ষ মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে আছে। সারা বছর বিপুল পরিমাণ বাজি তৈরি করে এই সময়ে বিক্রিবাটা করে তারা লাভের মুখ দেখেন। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ১০ লক্ষ হকার। ছোট ছোট স্টেশনারি দোকানেও বাজি বিক্রি হয়। তার দাবি, আগের তুলনায় বাজিতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। রংমশাল জ্বালালে আগের মত অত বেশি ধোঁয়া হয় না। তুবড়ি জ্বালালে আগের মত ফেটে যায় না কারণ পাল্প পেপার দিয়ে তৈরি হয়।

আরও পড়ুনঃ নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার অর্ণব গোস্বামী

তার দাবি, প্রত্যেক বছর পরিবেশ দূষণের ফলে সারা বিশ্বে অনেক বেশি লোক মারা যান। সেখানে বাজি পোড়ানোর ফলে মাত্র দেড় শতাংশ দূষণ মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তার ফলে মানুষের সেভাবে কোনও ক্ষতি হয় না। সুপ্রিম কোর্টও বাজি শিল্পের বিরুদ্ধে রায় দেয়নি। কিন্তু দিল্লি থেকে এসে কিছু লোক ও রাজনৈতিক দল ব্যক্তিগত স্বার্থে হাইকোর্টে মামলা করে চলতি বছরে বাজি বিক্রি বন্ধ করতে চাইছে। তারা এর বিরুদ্ধে আইনি পথে লড়বেন ঠিকই, কিন্তু একান্তই বাজি বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে দুর্গাপূজার ক্লাবগুলির মতো বাজিশিল্পীদেরও অনুদান দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। আশা করা যায়, মুখ্যমন্ত্রী শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।

সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হকার্স ইউনিয়নের নেতা প্রমথেশ সেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা প্রসূন পাঁজা, কাউন্সিলর অঞ্জন পাল প্রমুখ। তারাও বাবলাবাবুর দাবিকে সমর্থন করেন।

আরও পড়ুনঃ পাহাড় রাজনীতিতে ফেরার আসামী বিমল গুরুংকে পাত্তা দিতে নারাজ বিনয় তামাং

হকার্স ইউনিয়নের নেতা প্রমথেশ সেন বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে তথা রাজ্যে এভাবে চক্রান্ত করে মানুষের রুটি-রুজি কেড়ে নেওয়া যায় না। এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ হকারের ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে। ডাঃ প্রসূন পাঁজার কথায়, বাজি পোড়ানো এবং বাজি পুড়তে দেখার প্রবণতা আলাদা।

আতসবাজির কণায় কোভিড রোগীর ক্ষতি হতে পারে না। তার কোনও পরীক্ষিত তথ্য নেই। তাই ক্ষুদ্রতর রাজনৈতিক স্বার্থে বৃহত্তর স্বার্থের ক্ষতি করা উচিত নয় বলে দাবি করেন
কাউন্সিলর অঞ্জন পাল।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here