সুদীপ পাল, পশ্চিম বর্ধমানঃ
করোনা মোকাবিলার জেরে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ঘোষণায় লকডাউনে স্তব্ধ গোটা দেশ। তার মধ্যে এটি বাংলা বছরের শেষ তথা চৈত্র মাস। আমরা বাঙালিরা মূলত এই মাসটিকে সেলের মাস হিসাবেই চিনি। আর এই পরিস্থিতিতে সকলের প্রিয় চৈত্র সেল, আদৌ হবে কিনা জানেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে মাথায় হাত দূর্গাপুরসহ রাজ্যের নানা ব্যবসায়ী ও হকারদের।

আরও পড়ুনঃ সাক্ষাত হলো না জেলাশাসকের সাথে, জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ দিলীপের
তবে এদিন ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন, “স্টক ক্লিয়ার করার জন্য চৈত্র মাসে সেল দেওয়া হয়। যার ফলে বহু মানুষ কম টাকায় ভালো জামা কাপড় পান। তাই ক্রেতাদের ভিড়ও হয় ব্যাপক। তা সামলানোর জন্য আমারা নিয়োগ করি অতিরিক্ত কর্মীও। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই অন্য”। জানা যায়, লকডাউনের মেয়াদ ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে উঠলে, পরের দিনই বাংলার নববর্ষ তথা পয়লা বৈশাখ।এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি চিন্তায় ঘুম উড়েছে হকারদেরও।
এমনকি রাস্তার পাশে এতটুকু জায়গা পাওয়ার জন্য চৈত্র মাসের শেষ থেকে বৈশাখ মাসের আরও সাত দিনের জন্য তাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। তাতেও কার্পণ্য করেন না তাঁরা। তার কারণ যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তাতে ভাড়ার খরচ উসুল হয়ে যায়। তবে এবারের স্টক কবে কিভাবে বিক্রি হবে তা জানেন না হকাররা।
পাশাপাশি এই চলতে থাকা লকডাউনের পর আবারও লকডাউন হবে কিনা, তা নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় চার লাইনের একটি ছড়া, দূর্গাপুর জুড়ে এখন ঘুরছে। কবিতার সেই চারটি লাইন এখন আপনাদের জন্য,
“সিটি সেন্টার কাঁদিয়া কহে…
চণ্ডীদাস ভাই রে…
বেনাচিতিকে বলে দিও…
চৈত্র সেল নাই রে”……..
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584