বৈঠকে হট্টগোল,অন্যত্র সভার অজুহাতে বেরিয়ে গেলেন জেলা সভাপতি

0
75

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি কেমন তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক দেখেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি স্বপন দেবনাথ। কিন্তু বৈঠক চলাকালীন বিপর্যয় কেন হল এই রকম প্রশ্ন উঠতেই হট্টগোল শুরু হয়। যদিও হট্টগোল, বিক্ষোভের কথা মানেননি স্বপনবাবু। তিনি বলছেন, অন্যত্র বৈঠক থাকায় তাঁকে চলে যেতে হয়েছে।

chaos at Meeting
ছবিঃপ্রতিবেদক

ভোট পরবর্তীকালে একের পর এক দলীয় কার্যালয় দখল হয়ে যাচ্ছে, দলের কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে,বিভিন্ন জায়গায় কেন এরকম অবস্থা তা খতিয়ে দেখতে দলের নেতাদের নিয়ে ভোট পরবর্তীতে বৈঠক দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু বৈঠকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি না থাকায় তিনি বেরিয়ে যান বলে জানা যাচ্ছে।

তৃণমূলের একাংশের দাবি, বর্ধমান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সেলিম জেলা সভাপতি স্বপনবাবুর কাছে জানতে চান, এইভাবে কেন হারলো দল তার পর্যালোচনা করা জরুরি। কেন পর্যালোচনা হবে না? এই প্রশ্নের পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। এক নেতা অভিযোগ করেন, দলীয় কার্যালয় দখল হয়ে যাচ্ছে বলে আলোচনা হচ্ছে অথচ দলীয় দপ্তর প্রোমোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব কোন কথা বলছেন না, চুপ করে আছেন। কেন চুপ করে আছেন? এই প্রশ্ন তোলেন নেতারা। জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান এই বৈঠকের ডাক পাননি, তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এরকম কথা বলতে শোনা যায়, একটি গোষ্ঠীর মদতে বিজেপি এবং সিপিএম দলীয় কার্যালয় দখল করছে।

এমনও অভিযোগ করা হয়, দলীয় কর্মীরা যখন আক্রান্ত হচ্ছেন তখন উর্ধ্বতন নেতারা ঠাণ্ডা ঘরে বসে আছেন। কেন এরকম হবে? বস্তুত একাধিক প্রশ্ন ও তার জবাব না দিয়েই কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মন্ত্রী। তিনি অবশ্য বারবার বলছেন, কোনো হট্টগোল বা বিক্ষোভ নয় অন্যত্র বৈঠক থাকায় চলে এসেছি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here