শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রোগীর পরিবারকে মারধরকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধ্যায় রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেল বেহালার বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল এবং পুলিশের গাড়িকে ভাঙচুর করে স্থানীয় লোকজনরাই। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। এখনও হাসপাতাল জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার থেকে আসা এক রোগীর পরিবারের লোকজন দাবি করেন, হাসপাতালের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বচসার জেরে তাঁদের মারধর করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরাই। স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমাতে শুরু করেন। তাঁদের কাছে অভিযোগ করেন রোগীর পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের পর ফের বেলগাছিয়া স্টেশনে মেট্রোর সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর
এরপরে স্থানীয়রা হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সেখানকার চিকিৎসক তাঁদেরও মারধর করেন। স্থানীয় এক যুবককে আটকে রেখে তাকে হাসপাতালে মারধর করেন চিকিৎসকরা, এমনটাই অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, পুলিশ আসার পরেও তিনি পুলিশের হাত থেকে লাঠি ছিনিয়ে নিয়ে স্থানীয় ওই যুবককে মারেন।
আরও পড়ুনঃ স্পা সেন্টারের আড়ালে মধুচক্র! টেলি সিরিয়াল অভিনেতা-সহ গ্রেফতার ১৬
এর পরেই স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ডাক্তারের গাড়ি ভাঙচুর করেন। ভাঙচুর চালানো হয় নার্সিংহোমের ভিতরেও। পুলিশ এই সময়ে লাঠি চার্জ করতে বাধ্য হয়।
এরপরে স্থানীয় বাসিন্দারা বেহালা থানার পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর আগে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের দুর্ব্যবহারের একাধিক অভিযোগ থাকলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ।
বেহালা থানাকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা ওই নার্সিংহোমকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলেন রোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এই ধরনের অভিযোগকে আমল দিতে চায়নি পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584