উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
নন্দীগ্রামে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বক্তব্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন,’বাংলার কয়লা মাফিয়া কে? গরু চোর কে?’ উপস্থিত দর্শক থেকে শ্রোতারা একযোগে তখন বাংলার এক প্রভাবশালী সাংসদের নাম চিৎকার করে বলছিলেন।
সেই সময়ে প্যান্ডেলের ডান দিক থেকে ইঁট পাটকেল উড়ে আসে বলে অভিযোগ। সেই সময়ে নন্দীগ্রামে বিজেপির সভায় উত্তেজনা ছড়ায়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বক্তব্য রাখার সময়ই হঠাৎ হট্টগোল লক্ষ্য করা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাইক হাতে আসরে নামেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে নিজে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারী সভার উদ্দেশে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগ করেন। ঢিল ছুঁড়ে সভা ভন্ডুল করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের নিশানা ছিল তৃণমূলের দিকে।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় যখন বক্তব্য রাখছিলেন, সেইসময়ই সভার ডানদিকে উত্তেজনা দেখা দেয়। সভার মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী মাইক্রোফোন হাতে সবাইকে শান্ত হয়ে বসার জন্য অনুরোধ করেন। বলেন, “কিছু লোক এই সভাকে বানচাল করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আপনারা কেউ সেই প্ররোচনায় পড়বেন না। আমি শুভেন্দু অধিকারী বলছি। আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন।বিচলিত হবেন না।”
সভামঞ্চ থেকে মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে, ‘জয় শ্রী রাম’, ‘ভারতমাতা কি জয়।’শুভেন্দুর আশ্বাসের পর শান্ত হয় উপস্থিত জনতা। ফের সভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনিও সকলকে আশ্বস্ত করেন। বলেন, “আমি অনেক সভা দেখেছি। এমন গরম সভা দেখিনি। এখানে লাখ লাখ মানুষ রয়েছে।” এরপর দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রাখতে উঠে এপ্রসঙ্গে ধন্যবাদ জানান মানুষকে।
আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামের জনসভায় শুভেন্দুকে বড় সার্টিফিকেট দিলীপ ঘোষের
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির মানুষ শৃঙ্খলাপরায়ণ। ছোট্ট ঘটনা ঘটিয়ে এতো বড় সভা নষ্ট করার চক্রান্ত হল। কিন্তু মানুষ তা করতে দেননি।”পরে একদম শেষে নিজে বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দু অধিকারী ঢিল ছুঁড়ে সভা বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। তৃণমূলকে নিশানা করে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “সভা চলাকালীন ঢিল মারা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিম মেদিনীপুর সঙ্ঘ সমবায় কো-অর্ডিনেটর অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটেশন জেলা শাসককে
সিপিআই(এম) কোনওদিন তৃণমূলের কোনও সভায় ঢুকে ঢিল মারেনি। কোনওদিন দেখিনি।” আরও বলেন, “আমি থাকছি। এখানকার প্রতিটা মানুষ বাড়ি পৌঁছলে, তবেই আমি বাড়ি যাব। নিশ্চিন্তে বাড়ি যান।” প্রসঙ্গত, সভায় উত্তেজনা ছড়াতেই অশান্তির আশঙ্কায় মঞ্চেও আঁটোসাটো করা হয় নিরাপত্তা। মঞ্চেই বিজেপি নেতৃত্বকে ঘিরে থাকতে দেখা যায় র্যাফ ও নিরাপত্তারক্ষীদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584