শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা ছাড়াও অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা শুরু করার জন্য আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু বিভিন্ন কারণে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অন্যান্য চিকিৎসা শুরু করতে পারেনি। আর এই নিয়েই ১ জুলাই থেকেই প্রায় হাজার জন জুনিয়র চিকিৎসক বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
অভিযোগ, শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসে অধ্যক্ষের ঘরে কার্যত ঘেরাও হয়ে যান ডিরেক্টর অব মেডিকেল এডুকেশন স্বাস্থ্য অধিকর্তা শিক্ষা দেবাশিস ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য ভবনের স্পেশাল সেক্রেটারি তমালকান্তি ঘোষ। শেষে রাত্রের দিকে আলোচনার পর ওই দুই স্বাস্থ্যকর্তা বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ পিএইচডি রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কোভিড হাসপাতালের নিয়ম মেনে অবশ্যই করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলুক। কিন্তু তার পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত নন, কিন্তু কঠিন রোগে আক্রান্ত অসংখ্য মানুষ চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে কারোর নিয়মিত চিকিৎসা লাগে। এই পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে করোনার জন্য এমন ভাবে সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে, যে অন্যান্য রোগী চিকিৎসাই পাচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গ ও তার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার রোগী, যাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে খরচ করার মতো পকেটের জোর নেই, তাঁরা যাবেন কোথায়?
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে লকডাউনের মধ্যেই চালু হল প্রথম সাইকেল তৈরির কারখানা
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা শিক্ষা এবং স্পেশ্যাল সেক্রেটারি আলোচনার জন্য আসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে তাঁরা প্রথমে কোনও কথাই বলতে চাননি বলে অভিযোগ। এর পরে অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফলে আটকে পড়েন দুই স্বাস্থ্যকর্তা। রাতের দিকে স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা তাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিলে স্বাস্থ্যকর্তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584