সীমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
দিগম্বরপুর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভিলেজ পুলিশের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক মহিলার আপত্তিকর দৃশ্য প্রকাশ্যে এল। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। জনতায় ইটের ঘায়ে জখম হন এক অফিসার সহ বেশ কয়েকজন ভিলেজ পুলিশ কর্মী।
পাথর প্রতিমার দিগম্বরপুর কর্মতীর্থ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিযায়ী এক মহিলাকে রাখা হয়। ওই সেন্টারে গার্ড দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিলেজ পুলিশ জাহির আব্বাস। গতকাল গভীর রাতে ওই ভিলেজ পুলিশ পরিযায়ী মহিলার কাছে যায়। দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এলাকার বেশ কিছু ছেলে প্রথম থেকে জাহির আব্বাসের ওপর লক্ষ্য রাখছিল। জানালা দিয়ে তারা আপত্তিকর ভিডিওটি তোলে। পরে এলাকার লোকজনকে ডেকে বিষয়টি জানায়।
শুধু তাই নয়, সেন্টারের বাইরের গেটের তালা লাগিয়ে দেয় তারা। সকাল হতেই প্রচুর মানুষ এলাকায় ভিড় জমায়। জাহির আব্বাসের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে এলাকা। খবর যায় ঢোলাহাট থানায়। ঢোলাহাট থানার এক অফিসার সেখানে এসে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে মহিলা এবং জাহির আব্বাসকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীরা জাহির আব্বাসের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
শেষমেষ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কথা হয়। কথা শেষ হলে মহিলাটিকে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু তখন ও বিক্ষোভ চলতে থাকে। হঠাৎ দেখা যায় আরেকটি গাড়িতে করে জাহির আব্বাসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের গাড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পাশের বাড়িতে থাকা ইটের টুকরো ছুড়তে থাকে পুলিশের দিকে।
আরও পড়ুনঃ মাস্ক ব্যবহার না করলেই কড়া ব্যবস্থা, জানিয়ে দিল পুলিশ
বিক্ষুব্ধ জনতার ছোঁড়া ইটের ঘায়ে এক অফিসার সহ বেশ কিছু সিভিক পুলিশ গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। শেষে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে বেশকিছু মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584