মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
বুধবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় আমপান। বুধবার এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনবে পশ্চিমবঙ্গে। তাই তার আগে আমপান মোকাবিলায় আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত হয়েছে নবান্ন। পরিস্থিতি নজরে রাখতে বুধবার নিজের অফিসেই রাত কাটাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর আগেই ঘটল এক উত্তেজনামূলক ঘটনা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ব্যাটালিয়নের কর্মীদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু হয়। তার জেরেই আজ বুধবার সকালে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে আচমকা উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে ওই কর্মীদের আনা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই নবান্ন যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীর এই অকস্মাৎ পরিদর্শন।
আরও পড়ুনঃ সুরক্ষাহীনতাই বাধ্য হয়েছে চাকরি ছাড়তে, দাবি মনিপুরি নার্সদের
মঙ্গলবার রাতে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোডে অবস্থিত পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের চত্বরে এবং বড় রাস্তার ওপরেও বিক্ষোভ দেখান কমব্যাট বাহিনীর উত্তেজিত জওয়ানরা। তাঁদের মূল অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়াই অতিরিক্ত সময় ধরে ডিউটি করতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের সুরক্ষার কথা ভাবছেন না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক সম্মেলনে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার দিন ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
বিক্ষোভ চলাকালীন দীর্ঘসময় ধরে জগদীশ বোস রোড এবং ডিএল খান রোড অবরোধ করে রাখেন জওয়ানরা। এবং বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে তাঁদের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন ডেপুটি কমিশনার (কমব্যাট) নভেন্দর সিং পল। তবে তাঁর ও তাঁর দেহরক্ষীর গুরুতর আঘাত লাগেনি। পলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তোলেন একাধিক জওয়ান।
মঙ্গলবার রাতের এই বিক্ষোভকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা, যদিও এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হন নি কেউই। মঙ্গলবার রাতে উত্তেজিত জওয়ানদের শান্ত করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নগরপাল অনুজ শর্মা সহ একাধিক আইপিএস অফিসার। জওয়ানদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। জওয়ানদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, এবং সে সংক্রান্ত ব্যবস্থাও দ্রুত নেওয়া হবে বলে জানান উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এই আশ্বাস পাওয়ার পরই অবরোধ তুলে নেন কর্মীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584