নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
করোনা উপর্সগ নিয়ে মৃত এক কিশোরের মৃতদেহ নিতে এসে বেধড়ক মার খেতে হয় মর্গের কর্মীদের। সেখান থেকে পালিয়ে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন মর্গের কর্মীরা। মঙ্গলবার আইসোলেশন বিভাগে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। সোমবার গভীর রাতে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি হয়েছিল ওই কিশোর। কিশোরের মৃতদেহ নিতে এলে রোষের মুখে পড়তে হয় মর্গের কর্মীদের।
মারধরের অভিযোগ উঠেছে কিশোরের পরিবারের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগেই পরিবারের একাংশ সেখান থেকে চম্পট দেয়। এরপর হাজির হয় গ্রামের মাতব্বররা। তাঁদের হস্তক্ষেপে মৃতদেহ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু
যদিও এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মর্গের স্বাস্থ্যকর্মীরা মৃতদেহ নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। গ্রামের মাতব্বররাই মৃতদেহের ট্রলি টেনে ফ্রিজে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরের বাড়ি ইটাহার থানার বেকিডাঙা গ্রামে। সাত দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ভুগছিল ওই কিশোর।
আরও পড়ুনঃ করোনায় আক্রান্ত স্বামীর মৃত্যু, দুই সন্তান নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর
গ্রামের কোয়াক ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। লালারসের নমুনা ও মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করা পর্যন্ত মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল অন্য এক যুবকের আইসোলেশন বিভাগে মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার বুড়িডাঙ্গি এলাকায়। তার লালারসের রিপোর্ট এখনও না আসায় মৃতদেহ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584