পরকীয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিরুদ্ধে

0
145

মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্ক: গত ২ মে প্রকাশিত হয় ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। সেদিনই জানা যায়, শালতোড়া বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরি। এরপর তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জলঘোলা হোক আর না হোক সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে চন্দনা বাউরিকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। এমনিতেই বিধানসভার টিকিট পাওয়ার পর থেকে সকলের নজরে ছিলেন চন্দনা বাউরি। কারণ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া চন্দনাকে ভোটের ময়দানে দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন সকলে। তবে অবশেষে দলের ভরসার সম্মান রেখেছিলেন তিনি।

নির্বাচনের আগে মানুষের স্বার্থে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চন্দনা বাউরি। ঝড়-জল উপেক্ষা করে মানুষের কাছে পৌঁছেছিলেন। ভোটে জিতেওছেন। বিধায়ক হওয়ার পর সাধ্যমতো মানুষের পাশেও দাঁড়ান তিনি। কিন্তু এর ফলস্বরূপ তিনি কী পেলেন? শুধুই সমালোচনা। এছাড়া তাঁকে আর কিছু দেওয়ার ক্ষমতা এই সমাজের নেই। এখন নাকি শোনা যাচ্ছে, স্বামী-সন্তান ছেড়ে নিজের গাড়ির চালককে বরমাল্য পড়িয়েছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি! পরকীয়ার অভিযোগ উঠছে বিধায়কের বিরুদ্ধে।

কেউ কেউ বলছেন, বিধায়ক হওয়ার চার মাসের মধ্যেই স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে নিজের গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন চন্দনা বাউরি। আবার কেউ বলছেন, স্বামী ও দুধের সন্তানের কথা চিন্তা না করেই বুধবার রাতে লুকিয়ে বিবাহিত প্রেমিক কৃষ্ণকে বিয়ে করে নিয়েছেন চন্দনা। তারপর নাকি এক সঙ্গেই ছিলেন তাঁরা। এরপর কোনওভাবে বিষয়টি জানতে পারেন চন্দনার প্রথম স্বামী। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় যান তিনি। থানায় গেলেন তবে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন না। এই ঘটনাটি এবার প্রকাশ্যে এল, যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনার কথা জানার পর ক্ষুব্ধ দলের কর্মী সমর্থকরাও। এদিকে, চন্দনা বাউরির দাবি তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।

এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটির দুটো লাইন উল্লেখ করাই যায়। “রোজ কত কী ঘটে যাহা-তাহা/এমন কেন সত্যি হয় না, আহা।” পরকীয়ার ঘটনা প্রতিদিন এমন কত হয় এ রাজ্যে। কিন্তু সব কি প্রকাশ্যে আসে? কিন্তু চন্দনা বাউরির পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। কারণ একটাই। চন্দনা বাউরি এখন রাজনৈতিক মুখ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষুব্ধ তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকরাও। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ আছে কি? পরকীয়ার জেরে মানুষের জন্য কি আর কাজ করবেন না চন্দনা বাউরি? শালতোড়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন না এই বিজেপি বিধায়ক? রয়ে যাচ্ছে এরকম বেশ কয়েকটা প্রশ্ন। যার উত্তর এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here