সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
‘ধান দাও চেক নাও’- ফড়েদের উৎপাত কমাতে আজ বিষ্ণুপুর মাঠের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা।ফড়েদের থেকে বেশী দাম দিয়ে সরকার ধান কিনতে উদ্যোগী।কিন্তু সরকারি ধান কেনার এই প্রকল্পে অনাস্থা দেখা যায় চাষীদের।কেন এই অনাস্থা?ধান চাষী অশোক দলুই জানান যে,বাড়িতে অসুস্থ রোগী।সরকারকে ধান বিক্রি করলে নগদ টাকা মিলবে না।ফড়েরা দাম কম দিলেও সাথে সাথে হাতে টাকা পাওয়া যায়।সরকার প্রদত্ত চেক ভাঙাতে প্রায় পনেরো দিন লেগে যায়।অভাবের সংসারে এই পনেরো দিনের দিন যাপনের সংস্থান মিলবে কোথা থেকে।অপরদিকে ধান চাষী সমীর কুমার মাইতি জানান যে,নগদে সার বীজ শ্রমিক সবই লাগে সেখানে সরকারকে ধান বিক্রি করে পনেরো দিন অপেক্ষা করা সম্ভব নয়।তাই দামে কম হলেও ফড়েদের কাছেই ধান বিক্রিতে আস্থা রেখেছেন তিনি।এছাড়াও জানান যে,সাংসারিক প্রয়োজনে হঠাৎ করে দুবস্তা ধান কিনে টাকাতো ফড়েরাই দেয়।
ক্ষতির কথা স্বীকার করেও সরকারী প্রকল্পে ধান বিক্রিতে ইচ্ছুক নয় চাষীরা।ধান বিক্রির টাকা হাতে পেতে দীর্ঘসূত্রিতায় এর প্রধান কারন।
এছাড়াও সরকার সব ধানের একই মূল্য দেয় কিন্তু ফড়েরা সরু মোটা ধানের দামের ক্ষেত্রে ভিন্নতা রাখে।দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় ৭৫ শতাংশ চাষীই ধান চাষে যুক্ত।তারা ক্ষতি স্বীকার করে সরকারী প্রকল্পে ধান বিক্রি না করে ফড়েদের কাছেই ধান বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গঙ্গাসাগর মেলায় দুর্ঘটনা বিমা করিয়েছে রাজ্য সরকার ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রীর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584