সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
গত দশ বছরে এ নিয়ে পাঁচ বার এমন অভিযোগ উঠেছে। ফের শিশু বদলের অভিযোগ উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে বুদবুদের রূপা বাদ্যকর অভিযোগ করেন, তাঁকে প্রথমে ছেলেসন্তান দেওয়া হয়েছিল। আধ ঘণ্টা পরে মৃত কন্যা সন্তান দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরও শিশু বদলের অভিযোগ উঠেছিল। মেমারির তক্তিপুর গ্রামের আকাশি বেগম সদ্যজাত শিশুকন্যাকে নিয়ে এসএনসিইউ-এ ভর্তি ছিলেন। তাঁর দাবি, মেয়ের জন্মের সময় ওজন ছিল ২.৫ কেজির বেশি। কিন্তু যাকে দেওয়া হয়েছে সে খুবই দুর্বল। এবার পূর্বস্থলীর মেড়তলা গ্রামের বিশ্বজিৎ সূত্রধর অভিযোগ করলেন, স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের পরে তাঁদের যে সদ্যজাতকে দেখানো হয় সেটি ছেলে সন্তান। তারপরে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। কিছুক্ষণ পরে যাকে দেওয়া হয় সেটি কন্যাসন্তান। গত মঙ্গলবার সকালে মেড়তলার বিশ্বজিৎবাবু স্ত্রী ঝুম্পাদেবীকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করান। ওই দিনই রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সিজার করে তাঁর একটি সন্তান হয়। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরেই তাঁদের একটি কন্যা সন্তান দিয়ে বলা হয় এটিই তাঁর মেয়ের সন্তান। টিকিট ভুল হওয়ায় অন্য শিশু দেওয়া হয়েছিল। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিক মেলায় জাকির জানালেন,কেন্দ্রীয় শ্রম আইন সংস্কারের বিরোধী তিনি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584