নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
লকডাউনে বেড়েছে বাল্যবিবাহ, এরকমই তথ্য দিল রাজ্য চাইল্ড রাইট কমিশন। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের তিন সদস্য মেদিনীপুর জেলার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে হাজির হন সার্কিট হাউসে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের অনন্যা চক্রবর্ত্তী সুদেষ্ণা রায় ও শেখর ভট্টাচার্য।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অন্যান্য আধিকারিকরা। বলা যায় যে এই করোনা সংক্রমণ এবং তার জেরে লকডাউন। এই লক ডাউনে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যকে ধাক্কা দেয়নি ধাক্কা দিয়েছে বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রকেও। আধিকারিকদের দাবি, এই লকডাউনের জেরে প্রচুর মানুষ যারা আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে তারা নিজেদের আর্থিক দিক পিছিয়ে পড়ায় বাল্যবিবাহ দিতে অগ্রণী ভুমিকা নিয়েছে ৷

তাই এক্ষেত্রে এই লকডাউনের সময় জেলা এবং রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বাল্য বিবাহ হয়েছে। সেই সংক্রান্ত তথ্য আমাদের দফতরে আসাতে আমরা তড়িঘড়ি এই বৈঠকে হাজির হয়েছি। যদিও এদিন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “আমরা এই বৈঠকে মূলত হাজির হয়েছিলাম এই বাল্যবিবাহ ঘটনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে।
আরও পড়ুনঃ মহরম, করম পুজো উপলক্ষে প্রশাসনিক বৈঠক ফালাকাটায়
আমরা খতিয়ে দেখেছি পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেও প্রচুর পরিমাণে বাল্যবিবাহ হয়েছে ।যদিও আমরা ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৫ ভাগ আটকাতে পেরেছি ৫ ভাগ পারিনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে আমরা যাওয়ার আগেই বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আটকাতে পারিনি তা বলবো না, আমরা আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমরা যখন খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি তখন বিবাহ হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা এইসব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এই জরুরি বৈঠকে হাজির হয়েছি এবং জেলার সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584