নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
মঙ্গলবার চিনের শীর্ষ আইনসভা জানিয়েছে, হংকং এর অধিবাসীদের মধ্যে বিক্ষোভে সামিল জনতার ফেস-মাস্ক পরার বিরোধিতা করার কোনও অধিকার হংকং আদালতের নেই।
কারণ এটি হংকং অধিবাসীর ভিত্তিগত গণতান্ত্রিক অধিকারকে খন্ডন করে। উচ্চ আদালতের ফেস-মাস্ক ব্যান হওয়ার ঘটনাকে শীর্ষ আইনসভা ঔপনিবেশিক শাসনের আপতকালীন অবস্থার সাথে তুলনা করেছে।
একটি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বেইজিং নগরীর স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে—এই নিয়েই হংকংবাসীরা মাস্ক প্রোটেস্ট শুরু করেছিল।
Three bottom lines: China will not tolerate, one, undermining of national sovereignty and security, two, challenging the authority of Central Government or Basic Law, and three, using #HongKong for infiltration or sabotage against the mainland.
— Liu Xiaoming (@AmbLiuXiaoMing) November 18, 2019
স্থায়ী কমিটির আইন বিষয়ক কমিশনের মুখপাত্র ইয়ান তানভেই জাতীয় পিপলস কংগ্রেসের, এক বিবৃতিতে বলেছেন, “হংকংয়ের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের আইনগুলির সাথে হংকংয়ের ভিত্তিগত আইনগুলির সাযুজ্য রয়েছে কিনা, তা কেবল জাতীয় জনগণের কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির বিচার ও সিদ্ধান্তের মধ্যে পড়ে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এতে অন্য কোনও কর্তৃপক্ষের রায় ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।” বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছাড়া তিনি বলেছেন, “আমরা কিছু এনপিসি ডেপুটি দ্বারা প্রাসঙ্গিক মতামত এবং পরামর্শ বিবেচনা করছি।”
আরও পড়ুনঃ পরিবর্তন আসতে পারে সিটিজেনশিপ বিলে
চিন বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে তারা বেইজিং শহরটিকে পুরো বিশৃঙ্খল হতে দেবে না। বেইজিং এ অশান্তি রোধ করতে সেনা বা অন্যান্য সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করতে পারে, তা জানিয়েছিল চিন।
সোমবার ব্রিটেনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং বলেছেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হংকং সরকার অত্যন্ত চেষ্টা করছে। তবে পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায় তবে কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্যই আমাদের হাত ধরে নজর রাখবে না। অস্থিরতা অবসান করার মতো পর্যাপ্ত সমাধান এবং ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584