নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর। মুম্বই শহরে কিষাণ চাঁদ সাধু সিং এবং নোনি সিং-এর কোলে জন্ম নিলেন নাচের রানি তথা বলিউডের মাস্টারজি সরোজ খান। বাবা-মা অবশ্য জন্মের পর কন্যের নাম রেখেছিলেন নির্মলা নাগপাল। বলিউডে তিনি পরিচিতি পান সরোজ খান নামেই।
মাত্র তিন বছর বয়সে প্রথম শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ‘নজরানা’ ছবিতে। এরপর নানা সময়ে নানা ছবিতে তাঁর নাচ নজর কাড়ে দর্শকের। ১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ ছবিতে প্রথম কোরিওগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। তবে, সাফল্য আসে ১৯৮৭-তে ‘মি. ইন্ডিয়া’ ছবির হাত ধরে।
পরে নাগিনা, চাঁদনি, তেজাব, বেটা, খলনায়ক, দেবদাস, গুরু, যব উই মেট সহ একাধিক ছবিতে একের পর এক গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন তিনি। হয়েছেন প্রশংসিত। ফিল্মি ডান্স বললেই যেসব গানের নাচের কথা মনে পড়ে সেই ‘ধক ধক করনে লাগা’, ‘তাম্মা তাম্মা লোগে’, ‘ডোলা রে ডোলা রে’, ‘এক দো তিন’, ‘হাওয়া হাওয়াই’ তাঁরই সৃষ্টি।
‘সরোজ ডান্স অ্যাকাডেমি’তে নাচের তালিম নেন কয়েকশো ছেলেমেয়ে। তাঁদের সকলকে তো বটেই, পরিবার তথা বলিউডকে কাঁদিয়ে ঘুঙুর শিঁকেয় তুলে চিরতরে বিদায় নিলেন তিনি। জনপ্রিয় ডান্স রিয়ালিটি শো ‘নাচ বলিয়ে’তে বিচারক পদে ছিলেন তিনি অন্য দুই বিচারকের পাশে।
‘নাচলে ভে উইথ সরোজ খান’ রিয়ালিটি শোতে তাঁর ছন্দময় সক্রিয় ভূমিকা নজরে পড়ে দর্শকের। এ ছাড়াও ‘বুগি উগি’, ‘ঝলক দিখলা যা’, ‘উস্তাদো কা উস্তাদ’ শোতে একাধিকবার পদার্পণ ঘটেছে বলিউডের নাচের রানির।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জ্জি
১৭ জুন থেকে বান্দ্রার গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। করোনার পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। অবশেষে ৩ জুলাই রাত ১টা ৫২ মিনিটে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট-এ ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি। সরোজের রয়েছে তিন সন্তান সুকন্যা খান, হিনা খান এবং হামিদ খান।
প্রসঙ্গত, বলিউডের আকাশ থেকে একের পর এক নক্ষত্রপতনের ধারাবাহিকতায় একটা কথা খুব মনে হচ্ছে- স্বর্গলোক বলে যদি সত্যিই কিছু থাকে তা হলে সেখানেও হয়ত গড়ে উঠবে আস্ত এক বলিউড। অভিনেতা ইরফান খান, ঋষি কাপুর, গায়ক তথা সুরকার ওয়াজিদ খান আর এবার ডান্স কোরিওগ্রাফার সরোজ খান- সবে মিলে সৃষ্টি সুখের উল্লাস সেখানে হতেই পারে, বিচিত্র নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584