শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
একটি প্রাচীন জনপদ কাটোয়া শহর।এই কাটোয়া শহর এই চৈতন্যদেব সন্ন্যাস দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন কেশব ভারতীয় কাছে।এছাড়াও রয়েছে সখীরা আখড়া আশ্রম।এই সখীরা আখড়া আশ্রম এ মধু নাপিত নামে এক ব্যক্তি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কে মস্তক মন্ডিত করেছিলেন। মধু নাপিত এর জায়গায় গড়ে উঠেছে সখিরা আখড়া আশ্রম।রয়েছে শ্রী গৌরাঙ্গ মন্দির, মাধাই তলা আশ্রম, শ্রী রাধাকান্ত দেব মন্দির,ঘোষের শিব মন্দির ,গুরুদুয়ার ,শাহী মসজিদ কে দিদা জুনিয়র সমাধিস্থল,অজয় ভাগিরথী সঙ্গমস্থল শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির হরগৌরী মন্দির, হারি বাড়ি দুর্গা মন্দির,খ্যাপা কালী মন্দির ,যুব কালীমন্দির নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের আশ্রম।এই সকল দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করতে এসেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের বিদ্যানগর এর শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য সেবা সমিতি নামে মহিলাদের দ্বারা সংঘটিত একটি ভক্তের দল।
এই ভক্তের দল এর সম্পাদিকা মনীষা বিশ্বাস জানিয়েছেন যে তারা মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত কাটোয়া শহরের বিভিন্ন মঠ-মন্দির পরিদর্শন করতে এসেছিলেন এবং নগর সংকীর্তন এর মধ্যে দিয়ে আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে এই ধরনের উদ্যোগ বলে তিনি জানিয়েছেন।তিনি আরো জানিয়েছেন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব বিদ্যানগর এর শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন সেই সাথে সন্ন্যাস দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন এই কাটোয়া শহরে তাই বর্ধমানের বহু স্মৃতিবিজড়িত জায়গা রয়েছে যেসব জায়গা আমাদের পক্ষে পরিদর্শন করা আবশ্যক। এছাড়াও শ্রী নাম নামি ট্রাস্টি সম্পাদিকা ইন্দ্রানী দাস জানিয়েছেন যে মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করার জন্যই বেড়িয়েছেন।
বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক্ষাবিদ বিভাস বিশ্বাস,গবেষক তারকেশ্বর চট্টরাজ এই নগর সংকীর্তন কে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত যে সমস্ত স্থান রয়েছে সেই সমস্ত স্থানের উপর ইতিহাস সম্পর্কে ওই সমস্ত ভক্তদের কাছে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তুলে ধরেন।ইতিমধ্যেই কাটোয়া শহরের বড় উৎসব কার্তিক লড়াই তার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে দিয়ে এই ধরনের নগর সংকীর্তন এলাকার মানুষের কাছে নতুনভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগালো।এছাড়াও মাধাই তলার আশ্রমের ম্যানেজার বালকৃষ্ণ দাস বাবাজি জানিয়েছেন যে মহাপ্রভু নবদ্বীপ থেকে যখন কাটোয়া শহরে আসেন তিনি তখন এই মাধবী গাছের নিচে বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন তাই আজও মাধাই তলার আশ্রম নামে খ্যাত দেশ বিদেশ থেকে প্রতিদিন পুণ্যার্থীরা এখানে আসেন এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন এবং মহাপ্রভু সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন।মাধবি কুঞ্জে চৈতন্যদেব বিশ্রাম নিয়ে তার ভক্ত মাধাই এই স্থানটিতে আশ্রম তৈরি করেন তাই মাধাই তলা আশ্রমটি আজও স্বমহিমায় বিরাজমান দিবা রাত্র হরিনাম হয় এবং মোটা দক্ষ নিতাই দাস বাবাজি ভক্তদের সেবা দিয়ে চলছেন।শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য সেবা সমিতির ভক্তরা এবং শ্রী নাম নামি ট্রাস্ট এর ভক্তরা কাটোয়া শহরের একাধিক মন্দির পরিদর্শন করে রাতের দিকে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছায় নবদ্বীপ এবং বিদ্যানগরে। আগামীতেও কাটোয়া শহরসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মহাপ্রভু চৈতন্য স্মৃতিবিজড়িত এলাকা নগর সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন সেবা সমিতির সম্পাদিকা মনীষা বিশ্বাস ও ট্রাস্টের সম্পাদিকা ইন্দ্রানী দাস।
আরও পড়ুনঃ কাটোয়ায় আদি স্নানের ঘাট সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584