শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
স্বামীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন স্ত্রী। তার মধ্যেই যে স্বামী এত মারাত্মক কান্ড ঘটিয়ে ফেলবেন, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। মৃতের নাম চন্দন সিং, পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার। কিন্তু কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন? তা নিয়ে বিস্মিত সকলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়তলা থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছট পুজো উপলক্ষে পরিবারের সবাই বিহারে গেলেও বাড়িতে একাই ছিলেন চন্দন সিং। তবে ছট পুজাের ছুটি না পাওয়া নিয়ে কিছুটা বিমর্ষ ছিলেন। শনিবার রাতে স্ত্রী ববিতা দেবী সিংকে ভিডিও কল করেন চন্দন। ভিডিও কলে তিনি বলেন, “এই দেখ, আমি আত্মহত্যা করছি।” পরিবার সূত্রে খবর, তারপর থেকেই আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না চন্দন সিংকে। স্বামীর কথায় সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই এক প্রতিবেশীকে ফোন করেন চন্দন সিংয়ের স্ত্রী। একবার তাদের ঘরে গিয়ে দেখতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ একবালপুরে তরুণী খুনে গ্রেফতার দম্পতি

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির সন্তোষীনগর এলাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ,অভিযান পুলিশের
জানা গিয়েছে, ওই প্রতিবেশী এসে দেখেন, ঘরের দরজা ভেজানো অবস্থায় রয়েছে। আর ঘরের ভিতর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন চন্দন সিং। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে। এক প্রতিবেশী জানান, দম্পতির ৩ সন্তান। বড় মেয়ের বয়স ১০ বছর। এছাড়া ৮ বছরের একটি ছেলে ও ৭ বছরের আরও একটি মেয়ে রয়েছে।
কিন্তু কী কারণে এই আত্মহত্যা? পারিবারিক অশান্তি নাকি আর্থিক অনটন? সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। ওদিকে চন্দন সিংয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা বিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584