মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
করোনার আবহের মধ্যে দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজাে নিয়ে মানুষের মনে যে একটা উচ্ছ্বাস থাকে, এবার কিন্তু তার ভাটা পড়েছে মানুষের মধ্যে। পুজাে কমিটি গুলো শুরু করে দিয়েছে তাদের নানান রকম কাজকর্ম। শুধু তাই নয় সরকারের পক্ষ থেকে নানা ভাবে নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি।
আর সেই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। শনিবার সাগরদিঘিতে উদ্ধারকার্যের মহড়া দেয় সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।জানা গেছে, সামনে দুর্গাপুজাে ও তারপর ছট পুজাে। পুজাের শুরু থেকে বিজয়া দশমীর দিন পর্যন্ত জেলায় যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। প্রত্যেক বছর বিজয়া দশমীতে কোচবিহার নিরঞ্জন ঘাটে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য।
এ কারণে প্রতি বছরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় নিরঞ্জন ঘাটকে কেন্দ্র করে। পুরসভার পক্ষ থেকে নিরঞ্জন ঘাটের চারপাশে আলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তেমনই নদীতেই রাখা হয় স্পিডবোট।
আরও পড়ুনঃ ধানের বীজ নিয়ে হতাশ চাষীরা
যদি বিসর্জনে এসে কেউ নদীতে পড়ে যায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাকে যাতে উদ্ধার করা সম্ভব হয় সেই কারণেই সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে এই বোট রাখা হয়।তেমনই ছট পুজাের দিন ফাঁসির ঘাটে হাজারহাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সেই সময় যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণে মোতায়েন থাকে সিভিল ডিফেন্স।
আরও পড়ুনঃ একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর তৃণমূলের
এদিন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী কমল রায় জানান, “কোচবিহার জেলায় বেশ ক’টি স্পিড বোট রয়েছে। তার মধ্যে কোচবিহার সদরেও একটি রয়েছে। আজ আমরা সাগরদিঘীতে স্পিডবোট চালিয়ে দেখছি। কোন সমস্যা হয় কিনা। যদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তা মেরামত করা বা অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” মূলত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুজোর দিনগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584