উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
গভীর রাতে চাকরি প্রার্থী শিক্ষকদের জোর করে তুলে নিয়ে গেল। জানা যাচ্ছে রাতেই বাসে তুলে শিয়ালদহ স্টেশন পাঠিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকেই আন্দোলনে নামে টেট উর্ত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, আপার প্রাইমারির ১৪৩৩৯ পদে নিয়োগ করতে হবে। এই উদেশ্যে বিকাশ ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা কিন্তু বাধাপ্রাপ্ত হলে স্কুল শিক্ষা কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা।
সংগঠনের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ এবং সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, “গেজেট পদ্ধতি মেনে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।“
উল্লেখ্য, সারা রাজ্য থেকে চাকরির প্রার্থীরা এই আন্দোলনে যোগ দেয়। এরই মধ্যে কিছুদিন আগেই বিকাশ ভবনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন আন্দোলনকারীদের একটি সংগঠন। কিন্তু তাতেও কাটেনি জট।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু, চালু হল ২০২১ মাধ্যমিক পরীক্ষা এনরোলমেন্ট ফর্ম ফিলাপ
বস্তুত,এরই মধ্যে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধীদলগুলি। চাকরিপ্রার্থীদের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে দমন-পীড়নের নীতি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা।
কিন্তু তারই মধ্যে পুলিশের এই ভূমিকা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। ক্ষুব্ধ অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীরা। এর প্রতিবাদে রাতেই তারা মিছিল করে মৌলালি ক্রসিং পর্যন্ত গিয়ে সেখানেই রাস্তা অবরোধে বসে পড়েন। কিছুক্ষণ অবরোধ করার পর রাত দুটো নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ফের অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় পতাকা হাতে তমলুকে পদযাত্রা শুভেন্দুর
তাদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী তাদের জানিয়েছেন, মামলা চলছে বলে কিছু করা যাচ্ছে না। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকালেও তাঁরা মিছিল করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফের বসতে চলেছেন অবস্থানে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584