ধুঁকছে মৃৎশিল্প, করোনা আবহে করুণ অবস্থা শিল্পীদের

0
80

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

এই বছর করোনা আবহের ফলে মৃৎ শিল্পীদের মাথায় হাত। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো। অন্যান্য বছর গুলিতে এই সময়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার দক্ষিণ মেছোগ্রাম এলাকায় মৃৎশিল্পীদের চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেলেও এবারে তার উল্টো চিত্র।

two man | newsfront.co
চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র

প্রতিমার বায়না না থাকায়, বসে বসেই দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।শরতের আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা জানান দিচ্ছে পুজো আসছে। আর মাত্র ক’দিন বাকি শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো, তার আগে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা কেমন আছেন তার খোঁজ নিতেই বেরিয়ে ছিল নিউজ ফ্রন্ট। মৃৎশিল্পীরা জানান, প্রতিবছর তারা প্রায় ১০০ থেকে ১৫০টি বিশ্বকর্মার প্রতিমা বানান, কিন্তু এবার করোনা আবহে তারা প্রতিমা বানিয়েছেন ৩৫ থেকে ৪০ টি।

man | newsfront.co
কুশধ্বজ পাল, প্রতিমা শিল্পী। নিজস্ব চিত্র

যে কটি প্রতিমা বানিয়েছেন তার বেশির ভাগই বায়না হয়নি। ফলে দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। বেশিরভাগ বিগ বাজেটের বিশ্বকর্মা পুজো গুলি ছোট করে হচ্ছে। প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজাের প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস আগে কাজ শুরু হত। সেখানে মাত্র কয়েকদিন আগেই কাজ শুরু করেছেন মৃৎশিল্পীরা।

আরও পড়ুনঃ বিজেপি মহিলাকর্মীকে গুলি, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও নেতৃত্বের

১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় তৈরি ঠাকুরের দাম ছিল ২০০০ থেকে প্রায় ৫০০০ টাকা, এবছর ঠাকুরের উচ্চতা কমে গিয়ে তিন চার ফুট হয়েছে। যার ফলে দামও কমে গিয়ে ৯০০-১০০০ টাকা এর মধ্যেই রয়েছে প্রতিমা। করোনা আবহে মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা বায়না না হওয়ায় মাথায় হাত পড়লেও এখনও আশায় বুক বাঁধছে তারা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here