সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ 24 পরগনাঃ
লকডাউনে রেশন কার্ড না থাকলেও মিলবে খাবার। অস্থায়ী রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ২০ লক্ষ মানুষকে অতিরিক্ত ৫ কেজি চাল দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও ভিনরাজ্যে শ্রমিকদের জন্য কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
লকডাউনের সময় রেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোন জেলায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তো কোনো জেলায় মানুষ সেফটি সার্কেল মানছেন না।লকডাউন শুরুর পর বুধবার প্রথম খোলে রেশন দোকান। সপ্তাহ পার করে রেশন দোকান খুলতেই উপচে পড়ে গ্রাহকদের ভিড়।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় দুঃস্থদের সাহায্য ও ত্রাণ তহবিলে দান
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে পড়েন লোকজন। কোথাও সিভিক ভলেন্টিয়ার নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও, কোথাও তা সম্ভব হয়নি। করোনার আতংক ভুলে চাল-গম তুলতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে।
সরকারি ঘোষণা ছিল পয়লা এপ্রিল থেকে রেশনে চাল-গম বিলি হবে। বুধবার সকাল থেকেই জেলার রেশন দোকানগুলির সামনে গ্রাহকদের ভিড় উপচে পড়েছে।
বারাসাত থেকে বসিরহাট, ভাঙড় থেকে বারুইপুর সর্বত্র এক ছবি ধরা পড়ে। কিছু কিছু জায়গায় রেশন নিতে গিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ লাটে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন রেশন দোকানের সামনে সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করতে হয়।
এ দিন বেলা যত গড়াতে থাকে তত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন রেশন দোকানের ভিড় বাড়তে থাকে। বিপদ আঁচ করে পথে নামে পুলিশ। সিভিক ভলেন্টিয়াররা নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর চক দিয়ে গোল দাগ কেটে দেন। তাতেও অনেকের হুঁশ না ফেরায় পুলিশের ধমক খেতে হয়। বারাসাতে পুলিশের এই কড়া মনোভাব স্থানীয়দের সাধুবাদই কুড়িয়েছে।
ঠিক এরই মাঝে ডায়মণ্ডহারবার ব্লক একের কানপুর ধন বেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বোন বাহাদুরপুর গ্রামের ডিলার সুশান্ত হালদারের রেশন দোকানে এক অভিনব উদ্যোগ দেখা যায় সুশান্ত হালদার তার রেশন দোকানে চক দিয়ে দাগ তৈরি করে দেয়। এবং তিনি রেশন দোকানের ভিতর গ্রিলের ভেতর থেকেই রেশনের চাল গম বন্টন করতে থাকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584