সরকারি প্রকল্পগুলির শ্লথগতিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর ধমক

0
94

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

দুদিনের সফরে আজ কোচবিহারে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷সোমবার প্রথমে বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে বিকেল সোয়া তিনটা নাগাদ কোচবিহারে এসে পৌঁছান তিনি৷সেখানে “উৎসব” নামে একটি অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করেন৷বৈঠক শুরুর আগে পাশের ঘরে কোচবিহার জেলা বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে কয়েক মিনিটের একটি বৈঠক করেন।তবে ওই বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায় নি।এরপরেই শুরু হয় প্রশাসনিক বৈঠক।এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্তা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সভাধিপতি সহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী।

বৈঠকের শুরুতেই পড়ে থাকা প্রকল্পগুলির কাজ কর্ম ধীরগতিতে চলার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা কার্যত ধমক খেলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে৷ কোচবিহারের ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার জানিয়ে দেন, ছিটমহলের মানুষের জমির মালিকানা দেওয়ার জন্য তিন দিনের মধ্যে অর্ডিন্যান্স আনতে হবে৷এদিন তিনি ছিটমহলের মানুষ চুক্তি অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা জানতে চান।জেলা প্রশাসনের কাছে সঠিক উত্তর না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরেই প্রশ্ন তোলেন এখনও কেন ছিটমহলের মানুষরা জমির অধিকার পায়নি৷ এদিন ভূমি দফতরের আধিকারিকদেরও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।তিন দিনের মধ্যে অর্ডিন্যান্স জারি করে ছিটমহলবাসীদের জমির মালিকানা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এদিন যে সব বিধানসভার মধ্যে ছিটমহলগুলি পড়েছে, সেই সব এলাকার বিধায়কদের ছিটমহলের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়।পাশাপাশি, ছিট মহলের উন্নয়নের অর্থ নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকেও একহাত নেন৷ মমতার অভিযোগ, “ছিটমহলের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র যে টাকা দেবে বলেছিল, তা পুরোটা এখনও দেয়নি৷জেলায় সিতাই, দিনহাটা ১, শিতলখুচি সহ চার ব্লকে ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি কম হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।এছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদের নতুন জয়ী প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ শেষ না হওয়ার প্রসঙ্গ তুলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।নিয়মের অজুহাত দেখিয়ে কোনও কাজ যাতে ফেলে রাখা না হয়, সেব্যাপারে আধিকারিকদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী।ছিটমহলের মানুষদের জমির অধিকার দেওয়ার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন দফতরের আটকে থাকা কাজ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করা ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা নিয়ে ওই দফতরের আধিকারিকদের উপরেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি আরও বলেন, “বিদ্যুৎ দফতর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারছে না৷তাদের কাজে গাফিলতি রয়েছে৷

মানুষকে বুঝিয়ে সচেতন করে এই বিল আদায় করতে হবে।প্রয়োজনে তাদের ১ বছর সময় দেন।তিন ভাগে তাদের ওই বিল দিতে বলেন।” এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকের পর আগামীকাল মঙ্গলবার কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here