শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের মূল্যায়নে বহাল থাকছে ৮০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ পদ্ধতি। উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। করোনার আবহের মধ্যেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে পরীক্ষা নিতে হবে বলে নির্দেশ জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
এই নির্দেশের পরই এরাজ্যে উপাচার্য বিস্মিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার দিল্লিতে চিঠি পাঠিয়েছিল। শুক্রবার রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সংগঠন একযোগে জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা করে ইউজিসিকে চিঠি দিয়ে সবিস্তারে এ বিষয়ে জানবে। রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে পরীক্ষা ছাড়াই চলতি মাসের শেষের দিকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলার লজ্জা মমতা’-কে হারিয়ে ট্রেন্ডি়ংয়ে এগিয়ে ‘বাংলার গর্ব মমতা’
অন্যদিকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য তথা রাজ্যপাল সোশাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে কথা হয়েছে। ১৫ জুলাই উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথভাবে আমরা ইউজিসির সঙ্গে কথা বলব। বিদ্যার্থীরা আমার হৃদয়ের খুব কাছে রয়েছে। তারাই আমার অগ্রাধিকার।’
আরও পড়ুনঃ সেটের ফল প্রকাশ করল কলেজ সার্ভিস কমিশন
উল্লেখ্য, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ২৯ এপ্রিল বলেছিল বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সেখানে আরও বলা হয় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টের ও সেমিস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের রেজাল্ট বের করে দিতে হবে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি উলটে আরো উদ্বেগজনক হয়েছে। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী শিক্ষাবর্ষ কবে থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট জানা যাবে।
আবুটার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গৌতম মাইতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যা অবস্থা তাতে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থা যারা সারা দেশে উচ্চশিক্ষার কাজে নিযুক্ত তারা এমন সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে পারেন? এই নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584